আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উপমহাদেশের প্রাচীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটি ঢেলে সাজিয়েছেন সভাপতি সোনিয়া গান্ধি। আর এতে পদ হারিয়েছেন সর্বভারতীয় কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন বর্ষীয়ান নেতা। তবে পরিবর্তনে যাদের দায়িত্ব বেড়েছে তারা রাহুল গান্ধির আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। ঢেলে সাজানো প্রক্রিয়ায় ‘টিম রাহুল’ প্রাধান্য দিয়ে দলের ভবিষ্যত নেতৃত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা দিলেন সোনিয়া গান্ধি। খবর এনডিটিভি।
সম্প্রতি কংগ্রেসের দুরবস্থা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে সভাপতি সোনিয়া গান্ধি বরাবর চিঠি লিখেছিলেন ২৩ জন বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা। বিক্ষুব্ধ চিঠি প্রেরকদের মধ্যে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী আজাদ। হারিয়ানার দায়িত্বে থাকা আজাদ এবার পদ হারিয়েছেন। হারিয়ানার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন বিবেক বনসাল। তবে কংগ্রেস কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে স্থান হয়েছে গোলাম নবী আজাদের।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটির এ রদবদল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, সোনিয়া গান্ধির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা নেতাদের ছাটাই করা হয়েছে। ২৩ চিঠি প্রেরকের মধ্যে অন্যতম মতিলাল ভরা, আম্বিকা সনি ও মালিকার্জুন খারজে সাধারণ সম্পাদক প্যানেল থেকে বাদ পড়েছেন।
তবে ২৩ বিক্ষুব্ধের মধ্যে থাকা আরেক নেতা জিতিন প্রসাদের উন্নতি হয়েছে। কংগ্রেস কার্যনির্বাহী পরিষদের স্থায়ী সদস্য করা হয়েছে তাকে। একইসাথে পশ্চিমবঙ্গ ও আন্দামান নিকোবরে দলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
আগামী সম্মেলনের আগে সভাপতি সোনিয়া গান্ধিকে পরামর্শ দিতে গঠন করা হয়েছে ৬ সদস্যের একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি। এতে স্থান পেয়েছেন একে অ্যান্টনি, আহমেদ প্যাটেল, আম্বিকা সোনি, মুকুল ওয়াসনিক, কেসি বেনুগোপাল ও রণদীপ সুরজেওয়ালার।
কেসি বেনুগোপাল ও রণদীপ সুরজেওয়ালা রাহুল গান্ধির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। কংগ্রেসের ঢেলে সাজানো প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় উত্থান হয়েছে অপেক্ষাকৃত নবীন রণদীপ সুরজেওয়ালার। কর্ণাটকের দায়িত্ব দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে তাকে। এছাড়া তেলেঙ্গানায় দলের নতুন পর্যবেক্ষক করা হয়েছে রাহুল গান্ধির আরেক ঘনিষ্ঠ মণিকম টেগোরকে।