ভারতের অন্যতম বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতির পদে লড়াই থেকে ছিটকে গেলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তাঁর অনুগত ৯০ জনেরও বেশি বিধায়কের ‘বিদ্রোহের’ পরিপ্রেক্ষিতে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বাদ পড়েছেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নামের লংমার্চ কর্মসূচির মধ্যেই রাজস্থানে দলের মধ্যে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। আর এর নেপথ্যে জ্যেষ্ঠ নেতা অশোক গেহলট থাকায় তাঁর ওপর অসন্তুষ্ট কংগ্রেস নেতৃত্ব।
কংগ্রেসের সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের পছন্দের ব্যক্তি ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ৭১ বছর বয়সী অশোক গেহলট। তবে একই সঙ্গে দুই পদে থাকা যাবে না—রাহুল গান্ধীর এমন ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
অশোক গেহলটকে দলের সভাপতি করে শচীন পাইলটকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী করতে চেয়েছিল গান্ধী পরিবার। তবে শচীন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে তা মানবেন না বলে জানান ৯২ জন বিধায়ক। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে একযোগে পদত্যাগ করবেন বলে জানান তাঁরা। আর এর নেপথ্যে অশোক গেহলট নিজেই। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় গান্ধী পরিবার।
এদিকে অশোক গেহলট সরে যাওয়ায় কংগ্রেসের সভাপতি পদের লড়াইয়ে মল্লিকার্জুন খারগে ও দিগ্বিজয় সিংকে ভাবা হচ্ছে। এ ছাড়া মধ্য প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের নামও শোনা যাচ্ছে। তবে কে হচ্ছেন দলের নতুন সভাপতি তা নির্ধারণে আগামী ১৭ অক্টোবর ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আর গত দুই দশকেরও বেশি সময় পর এবার কংগ্রেসের নেতৃত্বের লড়াইয়ে থাকছেন না গান্ধী পরিবারের কেউ।