কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত দুই শিশু, দুই নারীসহ সাত জনের অগ্নিদগ্ধ মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সকালে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে নিহতদের নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
জানা যায়, সোমবার (২২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বালুখালীর ৮-ই ও ডাব্লিউ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প আগুন লাগে। এর পর দ্রুত আগুন ক্যাম্প-৮ এর ইস্ট, ওয়েস্ট এবং ৯, ১০ ও ১১ নম্বর শিবিরে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রায় ছয় ঘণ্টা পর রাত পৌনে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট, সেনাবাহিনী, আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ান ও রোহিঙ্গারা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এ যাবতকালের সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড আখ্যা দিয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসু দ্দৌজা নয়ন বাংলানিউজকে বলেন, এটি অনেক বড় অগ্নিকাণ্ড। এতে অন্তত কয়েক হাজার ঘর পুড়ে গেছে।
তিনি বলেন, ক্যাম্পগুলোতে বিভিন্ন দাতা সংস্থাসহ সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দেওয়ার কাজ চলছে। যে কারণে ঘটনার প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে একটু সময় লাগবে।
তবে রোহিঙ্গাদের দাবি এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেক শিশু ও বৃদ্ধের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সন্ধ্যা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় অনেক শিশু ও বৃদ্ধ অন্ধকারে পথ হারিয়ে ফেলে।