আগামীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশে সফল নেতৃত্বের বিকাশে কন্যাশিশুদের অধিকার রক্ষায় আরও বেশি সচেষ্ট হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে শুক্রবার এক বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি।
‘বিনিয়োগে অগ্রাধিকার, কন্যাশিশুর অধিকার’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শনিবার জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৩ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ দিবস উপলক্ষ্যে দেশের সব কন্যাশিশুসহ সব শিশুর প্রতি রইল আমার আন্তরিক স্নেহ ও ভালোবাসা’।
দেশকে সমৃদ্ধির সুউচ্চ শিখরে পৌঁছানোর জন্য একটি সুস্থ, সুন্দর, শিক্ষিত প্রজন্ম অপরিহার্য উল্লেখ করে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সুস্থ প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার মায়ের গর্ভে থাকা সময় থেকে শুরু করে শিশুদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, চিকিৎসা, শিক্ষা, নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে যোগ্য নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আজকের কন্যাশিশুর মধ্যেই সুপ্তভাবে বিরাজ করছে আগামী দিনের আদর্শ মা। তাই কন্যাশিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার প্রণয়ন করেছে বিভিন্ন আইন ও সুরক্ষা কার্যক্রম। ভবিষ্যৎ সুস্থ প্রজন্ম গড়ার প্রত্যয়ে কন্যাশিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। উপবৃত্তির সুযোগসহ যুগোপযোগী শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে তথ্য-প্রযুক্তি শিক্ষাকে পাঠ্য বইয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া, সমাজ সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে কন্যাশিশুদের সম্পৃক্ত করায় দেশের তৃণমূল পর্যায়ের কন্যাশিশুরা শিক্ষিত ও নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকারি-বেসরকারি নানা পদক্ষেপের কারণে দেশে কন্যাশিশুদের শিক্ষার হার বৃদ্ধির পাশাপাশি বাল্যবিবাহ ও যৌতুকের হার কমে এসেছে। কন্যাশিশুরা খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে ঈর্ষণীয় সফলতা প্রদর্শন করছে। এছাড়াও তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগ্যতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে জেন্ডার সমতায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘কন্যাশিশুদের জন্য বিনিয়োগ হবে যথার্থ বিনিয়োগ। কারণ আজকের কন্যাশিশুই আগামী দিনে গড়ে তুলতে পারবে একটি শিক্ষিত পরিবার ও বিশ্বসভায় নেতৃত্ব দানে পারদর্শী সুযোগ্য সন্তান। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের সফল নেতৃত্বের বিকাশে আমরা কন্যাশিশুদের অধিকার রক্ষায় আরও বেশি সচেষ্ট হব-এটাই সবার প্রত্যাশা।’