বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, কমনওয়েল্থ ডিজিটাল লার্নিং এ দক্ষতা অর্জনকারী গ্রাজুয়েটদের কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। চলমান প্রতিযোগিতা মূলক বিশ্ববাণিজ্য ডিজিটাল হয়েছে, সর্বক্ষেত্রে অটোমেশন চালু হয়েছে, এখন দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। ই-কমার্স, ডাটা এনালাইসিস, ই-ফামির্ং, ই-এগ্রিকালচার বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এজন্য কারিগরি দক্ষতা খুবই প্রয়োজন। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উঠে আসা দক্ষ জনশক্তিকে আমাদের কাজের লাগাতে হবে। এতে করে কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলো উপকৃত হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কমনওয়েল্থভুক্ত ৫৪টি দেশের দক্ষ জনশক্তি তৈরীতে অনলাইনে প্রশিক্ষণ বিপুল সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে। কমনওয়েল্থভুক্ত দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গুলোতে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। এ সুুযোগকে যথাযথ ভাবে কাজে লাগাতে হবে। ডিজিটাল ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন এবং ইন্টার পার্টনারশিপের মাধ্যমে তা কাজে লাগানো প্রয়োজন। কমনওয়েল্থ ডিজিটাল লার্নিং প্লাটফর্ম এ অনলাইন ট্রেনিং, করোনা কালে এবং পরবর্তী সময়ে কমনওয়েল্থ ভুক্ত দেশগুলো বেকার জনবলকে কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। কমনওয়েল্থ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের আসন্ন মিটিং-এ উল্লিখিত বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করা যেতে পারে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (২৭ এপ্রিল) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে কমনওয়েল্থ অফ লানির্ং এশিয়ান কনভোকেশন-২০২১ এ বিশেষ বক্তার বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন। কনভোকেশনের অপর বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন মালদ্বীপের হায়ার এডিউকেশন মিনিস্টার ড. ইব্রাহিম হাসান , শ্রীলংকার শিক্ষামন্ত্রী প্রফেসর জি এল পেইরিস ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। অতি সম্প্রতি জাতিসংঘ বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করনের জন্য চুড়ান্ত ভাবে সুপারিশ প্রদাণ করেছে। চলমান মহামারি কোভিড-১৯ এর কারনে নানামুখি চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবেলা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ মহুর্তে কমনওয়েল্থভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোতিা বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে একযোগে। বাংলাদেশসহ সবদেশের কমনওয়েল্থ কোর্স গ্রাজুয়েটদের স্বাগত জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, আন্তরিকতার সাথে দক্ষতা অর্জন করে তা কর্মক্ষেত্রে সফলভাবে কাজে লাগাতে হবে এবং ডিজিটাল সেক্টরে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে নিজেকে একজন দক্ষ উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।