রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর সকালের দিকে কমে এসেছে গ্যাসের গন্ধ। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। নিশ্চিন্তে চুলা জ্বালানোর কথা জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কোম্পানি।
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। নিশ্চন্তে গ্যাসের চুলা জ্বালাতে পারেন। কিছু এলাকায় সমস্যা হয়েছিল। তার সমাধান হয়ে গেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
তিনি আরও বলেন, গ্যাসের মধ্যে যে গন্ধ দেওয়া হয়, সেটা তো নিরাপত্তার জন্যই দেওয়া হয়। যাতে লিকেজ হলে গন্ধ বের হয়। আমরা সব ঠিক করেছি।
প্রসঙ্গত, সোমবার দিবাগত রাত ১১টা থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্যাসের তীব্র গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। অনেকে আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় নেমে আসে। গ্যাসের মেইন সুইচ বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় রাতে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও তিতাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল যে ঈদে শিল্প-কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায়, সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে গ্যাসের চাপ বেড়ে যাওয়ায় (ওভার-ফ্লো) গন্ধ বাইরে আসছে। তিতাসের জরুরি ও টেকনিক্যাল টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তারা।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস থেকেও বলা হয়েছিল, যেসব এলাকায় গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, আপাতত সেসব জায়গায় কয়েক ঘণ্টা চুলা জ্বালানো থেকে বিরত থাকা নিরাপদ হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিট রাস্তায় টহলেও বের হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার ফেসবুক পেজে রাত ১২টার দিকে জানান, ঢাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় গ্যাসের গন্ধ পাওয়ার খবরে নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। ঢাকার গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ ঘটনায় গত রাতে অনেকেই ভয়ে চুলা জ্বালাননি। দুর্ঘটনার ভয়ে অনেকে গ্যাসের মেইন সুইচ বন্ধ করে রাখেন। ফলে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) অনেক এলাকার অনেক বাসায় সকাল শুরু হয় গ্যাস ছাড়াই। এ জন্য তিতাস নিশ্চিত করেছে যে আর কোনও সমস্যা নেই। এখন চুলা জ্বালানো যাবে।