কয়রা উপজেলা প্রতিনিধিঃ খুলনা জেলার কয়রা থানার আমাদী ইউনিয়নের মসজিদকুড় গ্রামে অবৈধভাবে জমি জবর দখলের ঘটনায় কয়রার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইং ২০/০৮/২০২৪ তারিখে মোঃ আল আমিন বাদী হয়ে কয়রার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪ জনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর সি আর- ৪০২/২০২৪। মামলার আসামীরা হলেন শফিকুল সরদার, মোঃ জুবায়ের হোসেন, বোরহান মোড়ল, খাদিজা খাতুন।
মামলার আরজি ও বাদী সুত্রে জানা যায়, বাদী ও বাদীর পিতা নালিশি তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি ওয়ারেশ,কবলা ও ডিক্রি মুলে প্রাপ্ত হওয়ার পর বাদী ও বাদীর পিতা তাদের নিজ নামীয় সম্পত্তি সন সন খাজনা দাখিল করিয়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসিতেছিল। বাদী ও বাদীর পিতা তপসিল বর্ণিত সম্পত্তি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করা অবস্থায় ৪ নং আসামীর অর্থায়নে ও ৩ নং আসামীর প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় অন্যান্য আসামীগণ বাদী ও বাদীর পিতার নামীয় নিম্ন তপসিল বর্ণিত সম্পত্তি জোরপূর্বক ভোগ দখলের চেষ্টা ও পায়তারা করিয়া আসিতেছিল। আসামীগণের কোন কাগজপত্র না থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ গায়ের জোরে ও লোকবলে বলিয়ান হয়ে এলাকায় অসহায় মানুষের জোর পূর্বক ভূমি দখল, ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করিয়া আসিতেছে। এলাকার কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বা প্রতিবাদ করিতেও সাহস পায় না। স্থানীয় ভাবে বাদী শালিস এর মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করিলেও আসামীগণ কোন কিছুর তোয়াক্কা না করিয়া বীরদর্পে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে। আসামীগণ জমির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করিয়া এলাকার বিভিন্ন লোকের জায়গা দখল করে এবং নিজ জমি হিসেবে প্রচার করিয়া এলাকায় জালিয়াতি ভূমিদস্যুতা করিয়া আসিতেছে। আসামীগণ বাদীর তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি ও ভিটা বাড়ীর সিমানা ভাঙ্গিয়া ও ভূমি কাটিয়া বাদীর ক্ষতি করিয়া আসিতেছে থাকাবস্থায় বাদী ও বাদীর পিতার তফসিল বর্ণিত জমি আসামীগণ গায়ের জোরে বলিয়ান হয়ে জোরপূর্বক দখল করে নেয়। বিষয়টি লইয়া বাদী ও বাদীর পিতা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি মাধ্যমে আপোষ হওয়ার পরেও বাদী ও বাদীর পিতার জমি ফেরত না দিয়ে অবৈধভাবে দখল করিয়া সেখানে সেখানে বসবাস অব্যহত রাখিয়াছে এবং হুমকি দিয়া আসিতেছে।
এ ব্যাপারে কয়রার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খোজ নিয়ে জানা যায় আল আমিন বাদী হয়ে মামলাটি করিয়াছে এবং মামলাটি উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসারের নিকট তদন্ত এর জন্য পাঠানো হইয়াছে।