কয়রা উপজেলা প্রতিনিধিঃ খুলনা জেলার কয়রা থানার আমাদি ইউনিয়নের খিরোল গ্রামে বাবু, রায়হান, মারুফা খাতুন, সোহেল, মিজান মোড়ল, জলিল মোড়ল, কামরুলদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল করা ও মারামারির ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ ও বাদী সুত্রে জানা যায় জেলা খুলনা, থানা কয়রা, মৌজা খিরোল জেএলএ এসএ ১২২ নং হাল ১৫ নং। এসএ খতিয়ান নং ১০১ তৎপর ১০১/১ হাল বিআরএস খতিয়ান নং ২৬৬ তৎপর নাম পত্তন ও জমা খারিজ সুত্রে ৪১৭ নং এসএ দাগ ৪৮১, ৪৪৮, ৪০৫, ৪০৭, ৪০৯ ও হাল ১৫৩৩, ১৫২৩ দাগে মোট ১.২৬ একর জমির মধ্যে .৫০ শতক জমি অয়ারেশ ও কবলা মুলে প্রাপ্ত হইয়া সেখানে সিমান ও চৌহদ্দি নির্মাণ পূর্বক শান্তি পূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করা থাকাকালীন উপরোক্ত বিবাদীগণ বিভিন্ন সময়ে উক্ত সম্পত্তি সীমানা কাটিয়া ক্ষয় ক্ষতি করিয়া আসিতেছে। গত ইং ১৬.০৪.২০২৪ তারিখ সকাল আনুঃ ৭/৭.৩০ সময়ে বিবাদিগন জোরপূর্বক আমার জমিতে প্রবেশ করিয়া নতুন করে রাস্তা নির্মাণ করিতে থাকিলে আমি বাধা দিলে দিলে তারা আমাকে মারপিট করতে থাকে । স্থানীয় লোকজন চলে আসায় তারা চলে যায় এবং হুমকি দিয়ে বলে তোরা কিভাবে বসবাস করিস আমরা দেখব? ঘটনা নিয়ে আমি কয়রা থানায় একটি অভিযোগ করেছি ও জোরপূর্বক জমি হইতে বেদখল করতে আসায় কয়রা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করি যাহার নম্বর এমআর ২৯/২০২৪।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয় প্রতিবেশী আঞ্জুয়ারা ও সখিনা বলেন আমরা বিয়ের পর হইতে দেখে আসতেছি জমিটা শহিদুল অর্থাৎ বাদী ভোগ দখল করে ও মাছ চাষ করে আসতেছে । কয়েকদিন আগে উপরোক্ত বিবাদীগণ জোর করে জমি দখল করতে আসিলে বাদী বাধা দিলে বাদীকে মারপিট কর চলে যায়।
অভিযোগের সম্পর্কে বিবাদী বাবু মুঠোফোনে বলেন আমার ও আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেটা সম্পুর্ন মিথ্যা। বিবাদী মারুফাকে একাধিকবার কল করলেও বিবাদী কল রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে কয়রা থানা ও উপজেলা নির্বাহী কোর্ট এ খোজ নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।