দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে আজ বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে সংক্রমিত আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও একজন নারী। তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন ষাটোর্ধ্ব। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়। একই সময় করোনায় সংক্রমিত ৬১৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ সংখ্যা এক মাসের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। গতকাল করোনায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছিল। আর শনাক্ত রোগী ছিলেন ৫১৫ জন।
এখন পর্যন্ত দেশে মোট ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৯৩০ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ৮ হাজার ৪২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৬২৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৪১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা আসে ১৮ মার্চ।
দেশে সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। তবে ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। এখনো সংক্রমণ নিম্নমুখী।
করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এদিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।