অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার পর কয়েকজনের শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং এই টিকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্বের বিশেষ করে ইউরোপের একের পর এক দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রদান স্থগিত করেছে, জার্মানির নামও ওই তালিকায় রয়েছে। যার ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভূক্ত দেশগুলোতে কোভিড-১৯ এর টিকা সরবরাহে বড় ধরনের সংকট দেখা দিয়েছে।
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ইএমএ), যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ অনেকেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় রক্ত জমাট বাঁধার কোনো প্রমাণ না থাকার এবং ওই টিকাকে নিরাপদ ও কার্যকর বলে মত দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা নিয়ে ইএমএ-র মতামত প্রকাশের পর শুক্রবার থেকে জার্মানি আবার এই টিকা দিতে শুরু করেছে। কিন্তু টিকার নিরাপত্তা নিয়ে জনগণকে আস্বস্ত করতে নেতাদের বেগ পেতে হচ্ছে।
জার্মানির বাডেন-উহটেমবার্গ রাজ্যের প্রধান উইনফ্রিড ক্রাচমান জনগণের আস্থা ফেরাতে টেলিভিশনে সরাসরি এক অনুষ্ঠানে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেন। পরে তিনি জনগণকে বলেন, ‘‘এবার বিশ্বাস করেছেন তো, আমি টিকা নিয়েছি।”
ফ্রান্সও পুনরায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ব্যবহার শুরু করেছে, কিন্তু একটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে। বলেছে, সেখানে শুধুমাত্র ৫৫ বা তার বেশি বয়সের মানুষদের এই টিকা দেওয়া হবে।
ইইউ এবং যুক্তরাজ্যের এক কোটি ৭০ লাখের বেশি মানুষ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার উপসর্গ দেখা দেওয়া ঘটনা মাত্র ৩৭টির মত বলে দাবি অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃপক্ষের। তাও টিকার কারণেই তাদের শরীরে ওই উপসর্গ দিয়েছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এটা নিয়ে পরীক্ষা চলছে।