সৌরভ গাঙ্গুলী ভালোই বিপদে পড়েছেন। আইপিএল স্থগিত করতে হয়েছে করোনার কারণে। এবার তিনি পড়ে গেছেন ১০০০ কোটি রুপির জনস্বার্থ মামলার খপ্পরে। মামলাটা মূলত হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বিরুদ্ধে। কিন্তু সভাপতি হিসেবে তিনি দায় এড়ান কী করে!
মামলাটা বোম্বে (মুম্বাই) হাইকোর্টে দায়ের করেছেন আইনজীবী বন্দনা শাহ। ভারতজুড়ে যখন করোনাভাইরাস প্রতিদিন অগণিত মানুষকে আক্রান্ত করছে, হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, বড় বড় শহরের হাসপাতালে শয্যাসংকটে যখন সাধারণ চিকিৎসাটুকুও মানুষ পাচ্ছে না, অক্সিজেনের অভাব, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের অভাব যখন ভারতজুড়ে হাহাকারের জন্ম দিয়েছে, ঠিক তখন বিসিসিআই কর্তারা কীভাবে আইপিএলের মতো একটা আনন্দ-আয়োজন চালিয়ে যেতে পারলেন, মামলার বিষয় এটিই।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী যেন ১০০০ কোটি রুপি করোনায় আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসাসেবায় ব্যয় করেন। এই টাকা দিয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র তৈরি, অক্সিজেনের ঘাটতি মেটানো ও ওষুধ বা টিকার পেছনে ব্যয় করতে বলা হয়েছে।
করোনায় ভারতের জেরবার অবস্থায় কেন আইপিএল হচ্ছে—এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, আইপিএল নিয়ে সাবেক কিংবা বর্তমান কোনো ভারতীয় ক্রিকেটারই কোনো টুঁ শব্দ করেননি। এটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিদেশি ক্রিকেটাররাই।
অলিম্পিকে ভারতের হয়ে একমাত্র ব্যক্তিগত সোনাজয়ী শুটার আই এস বিন্দ্রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, করোনায় যখন গোটা দেশ পর্যুদস্ত, তখন আইপিএল চালিয়ে যাওয়ার মানেই হলো বিসিসিআই কর্তারা চোখ বন্ধ করে রেখেছেন।
সমালোচনার মুখেও আইপিএলের সূচি অনুযায়ী চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর ছিলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী। সে অনুযায়ীই সবকিছু হচ্ছিল।
সমালোচনা আর কোভিড উপেক্ষা করেই আইপিএল চলছিল। কিন্তু ঝামেলা বাধে দুই দিন আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর। এরপরই খবর আসে চেন্নাই সুপার কিংসের বোলিং কোচসহ আরও তিন সাপোর্ট স্টাফের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার। আট ফ্র্যাঞ্চাইজির চারটিতেই করোনা হানা দেওয়ার পর আইপিএল স্থগিত করে দিতে বাধ্য হয় বিসিসিআই।