প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাত হাজার ২১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে বিশ্বে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ লাখ ৯৫ হাজার ২২৯ জন।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৯টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ লাখ ২৪ হাজার ২৯৬ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ২৬ কোটি ২৩ লাখ ৫৬ হাজার ২২৫ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২৩ কোটি ৬৮ লাখ ৯১ হাজার ৪১৯ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও সংক্রমণ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট সংক্রমিত হয়েছেন চার কোটি ৯২ লাখ ৮১ হাজার ৬৫৩ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন আট লাখ ১ হাজার ১৭৫ জন।
ভারতে এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন তিন কোটি ৪৫ লাখ ৮৩ হাজার ৫৯৭ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৬৮ হাজার ৭৯০ জনের।
করোনায় যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ১৪ হাজার ৪২৮ জনের। মোট সংক্রমিত হয়েছেন দুই কোটি ২০ লাখ ৮৪ হাজার ৭৪৯ জন।
করোনায় একদিনে সাত হাজারের বেশি প্রাণহানি
তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, স্পেন, কলম্বিয়া ও ইতালি।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩১ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১১ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৯৮০ জন। দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে উঠেছেন ১৫ লাখ ৪০ হাজার ৫৯৭ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশের হুবেই শহরে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। কয়েক মাসের মধ্যেই ভাইরাসটি বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।
এরপর ভাইরাসটির নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টে বিপর্যস্ত হয়েছে বিশ্ব। সর্বশেষ আতঙ্ক ছড়িয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন। তবে এই ভ্যারিয়েন্টটি মানুষের উপরে কতটা প্রভাব ফেলবে তা এখনও গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে।