1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন

করোনায় চাপের মুখে অর্থনীতি , সংকটে এবারও ভরসা রপ্তানি ও রেমিট্যান্স খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১

করোনা মহামারিতে ব্যবসা-বাণিজ্য সংকুচিত হওয়ায় চাপের মুখে পড়েছে অর্থনীতি। করোনার প্রথম ধাক্কা সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছিল রপ্তানি খাত ও রেমিট্যান্স। প্রবাসে চরম প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও গ্রামের বাড়িতে টাকা পাঠাচ্ছেন প্রবাসী কর্মীরা। অনেকেই একটু বেশি পরিমাণেই পাঠানোর চেষ্টা করেছেন। আর তাঁদের শ্রমের টাকায় গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রাণসঞ্চার হয়েছে। একই সঙ্গে নানা সংকটের মধ্যেও পোশাককর্মীরা লড়াকু ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক রপ্তানিতে তাঁরা বড় ধরনের ধাক্কা লাগতে দেননি। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারের সর্বাত্মক লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে অর্থনীতির ওপর আরো চাপ বাড়বে। এ কারণে জীবন-জীবিকার সমন্বয় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ড চালু রাখার উপায় বের করার পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা।

করোনা মহামারির মধ্যে প্রবাসী আয়ে একের পর এক রেকর্ড হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসেই সাড়ে ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এটি গত অর্থবছরের পুরো সময়ের চেয়ে ২ শতাংশ এবং একই সময়ের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ গত অর্থবছরের পুরো সময়ের চেয়েও বেশি রেমিট্যান্স এসেছে এই আট মাসে। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের মার্চ মাসে গত অর্থবছরের মার্চের তুলনায় ৫০ শতাংশের বেশি রেমিট্যান্স বেড়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, নগদ প্রণোদনা, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম স্থিতিশীল রাখা ও হুন্ডি প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।

গত বছরে দেশে দুই হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ (২১.৭৪ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। এর আগে এক বছরে বাংলাদেশে এত রেমিট্যান্স আর কখনো আসেনি। এটি এর আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৩৪০ কোটি ৯৬ লাখ ডলার বা ১৮.৬০ শতাংশ বেশি। রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবার ৪৪ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে।

তবে করোনা মহামারির নতুন বিস্তারের মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে পণ্য রপ্তানি আয়ে বাংলাদেশ আগের একই সময়ের চেয়ে সামান্য পিছিয়ে রয়েছে। গেল মার্চ মাসে অবশ্য রপ্তানি আয়ে বেশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করে দুই হাজার ৮৯৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার আয় করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ০.১২ শতাংশ কম। মার্চ মাসে বাংলাদেশ থেকে ৩০৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের মার্চের তুলনায় ১২.৫৯ শতাংশ বেশি। এর আগে বছরের প্রথম দুই মাসে রপ্তানি আয়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। দেখা যায়, নিট পণ্য রপ্তানির ধারাবাহিক উন্নতি রপ্তানি খাতের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে।

তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি (বিজিএমইএ) ড. রুবানা হক বলেন, ‘করোনার প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টার মুহূর্তে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ এবং অতিসংক্রমণশীল নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব সারা বিশ্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। এরই মধ্যে লকডাউন বা অবরুদ্ধ অবস্থা জারি করেছে বেশ কয়েকটি দেশ। ইউরোপে আবারও লকডাউন আরোপ করা হলে মৌসুমের বড় বিক্রি হারাবে ক্রেতারা এবং এতে নতুন ক্রয়াদেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সেটি হলে অনেক কারখানায়ই প্রয়োজনীয় ক্রয়াদেশ থাকবে না।’ তিনি বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এই বছরের শেষ কিংবা আগামী বছরের শুরু ছাড়া বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং পোশাক রপ্তানি কোনোটাই আলোর মুখ দেখবে না। তার পরও আমরা আশাবাদী হচ্ছি এবং আপ্রাণ চেষ্টা করছি ছন্দ ফিরে পেতে। এ ব্যাপারে সরকার ও নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়তা বাড়ানো জরুরি।’

করোনার প্রথম ঢেউয়ে কর্মী ছাঁটাই না করার অঙ্গীকার করেছিল দেশের মোটরসাইকেল উৎপাদন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান রানার গ্রুপ। এই গ্রুপের মতো দেশের অসংখ্য উদ্যোক্তা কর্মী ছাঁটাই না করে বরং কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে করোনা মোকাবেলা করে যাচ্ছেন। তবে লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে সংকট বাড়বে বলে মনে করছেন রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘সংক্রমণে রাশ টানতে গিয়ে অর্থনীতির ক্ষতি কোনোভাবেই কাম্য নয়। বরং স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখা যায় সেই পথ খোঁজা উচিত। এতে অর্থনীতিও যেমন সুস্থ থাকবে তেমনি বেসরকারি খাতও মহামারির মধ্যে কিছুটা শ্বাস নেওয়ার সুযোগ পাবে।’ তিনি বলেন, এটা বোঝাই যাচ্ছে একটা ক্ষতি দিয়ে আরেকটা ক্ষতিকে সমাধান করা যায় না। মানুষের জীবন রক্ষা করার জন্য চিকিৎসার সম্প্রসারণ করা বেশি জরুরি। চিকিৎসা পেলে মানুষ বাঁচবে।

এদিকে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বড় ভূমিকা রাখে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই)। কিন্তু লকডাউনে এই খাতের ব্যবসায়ীরা সংকটে পড়েছেন বলে জানালেন নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন। তিনি বলেন, ‘করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। গত বছর সাধারণ ছুটিতে মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ থাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছেন। এবার রোজা, বৈশাখ ও ঈদ ঘিরে অনেকে বাড়তি ব্যবসার প্রস্তুতি নিয়েছেন। বিভিন্ন পণ্য বিক্রির জন্য প্রস্তুত রেখেছেন। লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে লাখ লাখ মানুষের জীবিকা হুমকিতে পড়বে।’

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও শাশা ডেনিমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস মাহমুদ বলেন, ‘করোনা সংকট মোকাবেলায় সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজটি যথাযথ ব্যবহার না হয়ে তেলে মাথায় তেল দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের উদ্যোক্তারা। এবার করোনার দ্বিতীয় ধাপ এবং লকডাউন সামাল দিতে সরকারকে ভীষণ বেগ পেতে হবে।’ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত, পোশাক শ্রমিক এবং কর্মহীন হয়ে পড়া কর্মীদের খাদ্য সহায়তার আওতায় আনার পরামর্শ দেন তিনি।

অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের পাশাপাশি এখন রাজস্ব ও বিনিয়োগ বাড়ানোই বড় চ্যালেঞ্জ। লকডাউনে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবিকা হুমকিতে পড়বে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক এবং উন্নয়ন অন্বেষণের চেয়ারপারসন রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর গতকাল বলেন, ‘প্রথম ধাক্কা এখনো কাটেনি এবং সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ব্যবস্থাও গড়ে ওঠেনি। দ্বিতীয় ধাক্কায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকায় অভিঘাত আরো বেশি পড়বে। প্রথম ধাক্কায় যিকঞ্চিৎ সঞ্চয় ছিল তা ভাঙিয়ে সংসার চালিয়েছেন, আত্মীয়-স্বজনের সহায়তা নিয়েছিলেন অথবা জমি বিক্রি বা বন্ধক রেখেছিলেন। এখন কোথায় ধার পাবেন বা আগের ঋণই কিভাবে শোধ হবে—এমন এক অনিশ্চয়তার জীবনের মধ্যে নিপতিত হয়েছেন বেশির ভাগ মানুষ।’

তিনি বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তার কোনো পূর্বাভাসও নেই। নির্দিষ্ট একটি পণ্যের ওপর ভর করে দেশের রপ্তানি দাঁড়ানোর বিষয়টি ইতিবাচক নয়। সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে আপাতত পণ্য বহুমুখীকরণের পদক্ষেপগুলো তেমন কার্যকরভাবে দৃশ্যমান নয়। অভিবাসী আয় সাম্প্রতিককালে ক্রমহ্রাসমান হওয়ায় ভোগব্যয় হ্রাসের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে দারিদ্র্য পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো যেতে পারে। এ জন্য সুদূরপ্রসারী সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা স্থাপন এবং নতুন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

অর্থনীতি বিশ্লেষক মামুন রশীদ বলেন, ‘লকডাউন না দিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে গত বছর যে শিক্ষাগুলো পাওয়া গেছে তার আলোকে পদক্ষেপ নিতে হবে। পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ডগুলো চালু রেখে সামনে অগ্রসর হতে হবে।’ সংকট মোকাবেলায় এবারও রপ্তানি ও পোশাক খাত বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন মামুন রশীদ। তিনি বলেন, ‘যারা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে তাদের প্রণোদনার টাকা দ্রুত পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। আরো ভাবতে হবে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা ঠিক রাখার কৌশল নিয়ে। লকডাউন না দিয়ে বরং স্বাস্থ্যটাকে

প্রায়রিটি দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তারপর বিশেষ কাজ হবে যারা উৎপাদক হিসেবে আভির্ভূত হয়েছে তাদের কাছে সহযোগিতা কিভাবে পৌঁছে দেওয়া যায় সে ব্যাপারে কর্মকৌশল ঠিক করা।’

এদিকে করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাতে তৈরি পোশাক রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স কমে গিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে তৈরি পোশাকের চাহিদা কমে যাওয়ায় বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবশ্য বিশ্বব্যাংক এটাও বলেছে, ২০২০ সালে প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশের যে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তার কারণ হলো বৈধ পথে অর্থ পাঠানো বৃদ্ধি, সরকারের প্রণোদনা এবং অভিবাসী কর্মীদের জমানো টাকাসহ দেশে ফিরে আসা। মহামারি থেকে দীর্ঘমেয়াদি পুনরুদ্ধারের অর্থনৈতিক পরিণতি হিসেবে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে অভ্যন্তরীণ ব্যাংক খাতের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হতে পারে।

এদিকে শিল্প-কারখানাকে নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রাখায় গত বছরের মতো সংকটের সৃষ্টি হয়নি জানিয়ে বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি ও ইস্টার্ন অ্যাপারেলস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এই মুহূর্তে জুন-জুলাই পর্যন্ত অর্ডার বুকড থাকলেও পরের মৌসুমের জন্য অর্ডার বুকিং দেওয়া কমে গেছে। এই সময়ে আগস্ট-সেপ্টেম্বর মৌসুমের অর্ডার আসার কথা, কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকায় করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেভাবে অর্ডার আসছে না। আগামী এক মাস এমন পরিস্থিতি চললে টিকে থাকা কষ্ট হয়ে যাবে।’

একই কথা বললেন বিজিএমইএর নবনির্বাচিত পরিচালক ও আরডিএম অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রকিবুল আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এই মাসে প্রচুর অর্ডার আসার কথা। বিশেষ করে নিট পণ্যে। ওভেন পণ্যের অর্ডার পরিস্থিতি বোঝা যাবে আরো এক সপ্তাহ পর। এই মুহূর্তে জুন পর্যন্ত কাজের অর্ডার আছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি