করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ছয়জন ও নারী একজন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ছয়জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান একজন। এ নিয়ে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ৯৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
একই সময় নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪৪৬ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ লাখ ৪৮ হাজার ১৪৮ জনে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ২৩ শতাংশ।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে সোমবার (৭ মার্চ) ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু এবং ৪৩৬ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্তের হার ছিল ২ দশমিক ১৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৮৭৮টি ল্যাবরেটরিতে ২০ হাজার ১৫৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ১৯ হাজার ৯৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট এক কোটি ৩৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
এদিকে, একদিনে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন তিন হাজার ৬২ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৬ জন।
বিভাগওয়ারি হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ছয়জন এবং সিলেট বিভাগের একজন। তবে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ, রংপুর, বরিশালে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি। বয়স অনুযায়ী মৃতদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন, ষাটোর্ধ্ব দুজন, সত্তরের বেশি বয়সী তিনজন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।