প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টিকা আসার আগে অনেক সমালোচনা, অনেক ব্যঙ্গ হয়েছে। এসবের উত্তর টিকা আসার পর টিকা নিজেই দিয়েছে। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি আরেকটু নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। টিকা নেওয়ার পরও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা ও একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ১২ কার্যদিবসের এই অধিবেশন আজ শেষ হয়েছে। শেষ দিনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নেতারা যত কথাই বলুক, তাদের নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। তাদের ওপর থেকে মানুষের আস্থা সরে গেছে। আওয়ামী লীগের কাছ থেকে মানুষ সেবা পেয়েছে, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, মানুষের আস্থা–বিশ্বাস অর্জন করেছে আওয়ামী লীগ। তার প্রতিফলন দেখা গেছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোয়।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, যাদের গায়ে দুর্নীতির ছাপ, যারা দুর্নীতিতে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, দুর্নীতি, গ্রেনেড হামলা মামলায় যাদের সাজা হয়, তারা কোনো দলের নেতৃত্বে থাকলে জনগণের জন্য কাজ করবে কীভাবে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০টা গুন্ডা, ২০টা হোন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা—সে পদ্ধতি এখন আর নেই। ইভিএমে ভোট কারচুপির সুযোগ নেই। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোয় ছোটখাটো ঘটনা ছাড়া ভালো ভোট হয়েছে। মানুষ ভোট দিতে পারছে। বিএনপির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাদের গায়ে হাজার কালির ছিটা, তারা আবার এত বড় কথা বলে কোন মুখে?’
শেখ হাসিনা বলেন, সামরিক আমলে জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল না। যেটা মিলিটারি শাসকেরা ঠিক করে দিত, সেটাই হতো। রেজাল্টও পরিবর্তন করা হতো।অতীতে ভোট চুরির অপরাধে সরকারপ্রধানকে পদত্যাগও করতে হয়েছে।
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে সরকার পদ্মা সেতু করেছে, প্রশংসা তো করলই না, খালেদা জিয়া বলেছিলেন, জোড়াতালির পদ্মা সেতুতে কেউ উঠবেন না।
সেতুতে না উঠে নৌপথে যেতে হলে নৌকাতেই উঠতে হবে। প্রধানমন্ত্রী অনেকটা হাস্যরস করে বলেন, ‘উপায় নাই, নৌকায়ই চড়তে হবে। আমাদের নৌকা অনেক বড়। সবাইকে নেব। কিন্তু বেছে নেব। কেউ যেন নৌকা ফুটো করতে না পারে।’