বড়দিনের উৎসব সামনে রেখে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে নেদারল্যান্ডস। নতুন এই পদক্ষেপের ফলে বন্ধ থাকতে পারে অপ্রয়োজনীয় সব দোকান-পাট। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের জেরে এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দেশটি। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সিএনবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
নেদারল্যান্ডসের সরকার এরই মধ্যে দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একটি বৈঠক করছে। এতে বিশেষজ্ঞরা দোকান, স্কুল, বার, রেস্তোরাঁ ও অন্যান্য পাবলিক স্থানগুলো বন্ধ করার সুপারিশ করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ডাচ সরকার করোনা সম্পর্কিত বিধিনিষেধ আরোপ করে। সরকারের আদেশে বলা হয় বার, রেস্তোরাঁসহ অপ্রয়োজনীয় দোকান-পাট বিকেল পাঁচটা থেকে সকাল পাঁচটা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে এখন এ সময় আরও বাড়বে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে বলেন, ওমিক্রন জানুয়ারির মধ্যে নেদারল্যান্ডসে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পাবলিক হেল্থের (আরআইভিএম) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১০৫ জনের করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত অনেক বেশি। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) দেশটিতে নতুনভাবে ১৫ হাজার ৪৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এদিকে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জ্যাঁ ক্যাসটেক্স বলেন, করোনার পঞ্চম ঢেউ এসে গেছে ও এটি পুরো উদ্যমে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। ইউরোপে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আলোর গতিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ক্যাসটেক্স আরও বলেন, জানুয়ারির শুরুতেই হয়তো দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এবং উচ্চ সংক্রমণযোগ্য এই ভ্যারিয়েন্ট ফ্রান্সে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
করোনা করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক আরও বাড়তে শুরু করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৭৭টির বেশি দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। গত ২৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়। এরপর আফ্রিকান দেশগুলোর ওপর একের পর এক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ অসংখ্য দেশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনার নতুন এই ধরনে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওমিক্রনে এমন কিছু মিউটেশন বা রূপান্তর ঘটেছে, যার ফলে এর বিরুদ্ধে প্রচলিত টিকাগুলো কার্যকর না-ও হতে পারে। তবে বিধিনিষেধের বিষয়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় পদক্ষেপ নিতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের এই স্বাস্থ্য সংস্থা।