করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ আমেরিকার চেয়েও এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার (১৮ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ মিলনায়তনে চক্ষু চিকিৎসক সমিতির ৪৯তম সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে বলেই আজকে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশ যখন করোনার টিকা দেওয়ার কথা চিন্তাও করেনি তখন আমরা বাংলাদেশে টিকা দেওয়া শুরু করেছি। সাড়ে ২৯ কোটি টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে। ২৬ কোটি টিকা দেশের মানুষকে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশ এখন সুরক্ষিত।
তিনি আরও বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই জীবনযাত্রা এখন স্বাভাবিক। গত এক মাসে দেশে করোনায় একজনেরও মৃত্যু হয়নি, এটা বিশ্বে বাংলাদেশের বিরাট একটা অর্জন। পৃথিবীর কম দেশই রয়েছে যেখানে গত এক মাসে একজন লোক করোনায় মারা যায়নি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন বাধা ছাড়াই বিশ্বের যে কোনো দেশে যেতে পারে। বিদেশে যেতে এখন বাংলাদেশের মানুষের করোনার সার্টিফিকেট দেখাতে হয় না। বিশ্ববাসী জানে বাংলাদেশে এখন করোনায় মৃত্যু নেই এবং আক্রান্তের সংখ্যাও কম। বিশ্ব বাংলাদেশের করোনা নিয়ন্ত্রণের প্রশংসা করে।
জাপান ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, কিছুদিন আগে জাপান থেকে একটি গবেষণার জরিপ প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে পৃথিবীর ১২১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। আমাদের পাশের দেশ ভারত রয়েছে ৭০তম অবস্থানে। পাকিস্তান রয়েছে ৫০তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক বিশ্ব ব্যাংক সফর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমরা তিন ঘণ্টা বৈঠক করেছি। তারা আমাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেছে ১৭ কোটি জনসংখ্যার ঘনবসতি পূর্ণ একটি দেশে কিভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণ করেছি, যেখানে আমেরিকা করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এখনো আমেরিকায় করোনায় সাড়ে ৪০০ লোক প্রতিদিন মারা যাচ্ছে। ৭০ থেকে ৮০ হাজার লোক প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে।
বিশ্ব ব্যাংক বলেছে, আমেরিকার সঙ্গে তুলনা করলে হয়তো কোনো দিকেই বাংলাদেশ এগিয়ে থাকবে না। কিন্তু করোনা নিয়ন্ত্রণে এবং ভ্যাক্সিনেশনে বাংলাদেশ আমেরিকার উপরে রয়েছে।
অধ্যাপক আশরাফ সাইদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, অধ্যাপক আভা হোসেন প্রমুখ।