করোনায় বিশ্বজুড়ে অব্যাহত আছে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু। তবে গত ২ বছরের তুলনায় সম্প্রতি তাতে খানিকটা নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
শুক্রবার বিশ্বে করোনায় করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৪৪ হাজার ২১৮ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১২৬ জনের। এছাড়া এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৮০ জন।
মহামারি শুরুর পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
শুক্রবার করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে শীর্ষে ছিল জার্মানি। দেশটিতে এ দিন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৮৩১ জন এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে ২০৪ জনের।
জার্মানি ব্যতীত আরও যেসব দেশে শুক্রবার সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব হলো— যুক্তরাষ্ট্র (মৃত ১৮০ জন, নতুন আক্রান্ত ১৮ হাজার ৮৫২ জন), রাশিয়া (মৃত ৯৩ জন, নতুন আক্রান্ত ৯ হাজার ৭৬১ জন), ইতালি (মৃত ৯৮ জন, নতুন আক্রান্ত ৩৬ হাজার ১১৪ জন), ফ্রান্স (মৃত ৮১ জন, নতুন আক্রান্ত ৪৯ হাজার ৮৭ জন), তাইওয়ান (মৃত ৭৮ জন, নতুন আক্রান্ত ৩৭ হাজার ২৬৫ জন), এবং জাপান (মৃত ৬৮ জন,নতুন আক্রান্ত ৩১ হাজার ৫৯৩ জন)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৪৬ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৪ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৪৬ লাখ ৫১ হাজার ১৩৯ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন ৩৮ হাজার ৬১৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।