বিশ্বজুড়ে আবারও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে। বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় সাত হাজার ৮৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন চার লাখ ৭৪ হাজার ৬১৮ জন। এছাড়া ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠেছেন চার লাখ ৩৮ হাজার ১৪৫ জন।
মৃত্যুর দিক থেকে একদিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, সেখানে একদিনে এক হাজার ৪৭৭ জনের মৃত্যু হয়, এরপরেই রয়েছে রাশিয়া এক হাজার ২১১ জন। আক্রান্তের দিক থেকেও সবার উপরে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। রাশিয়া ছাড়াও তাদের প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনেও ব্যাপক সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৯টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান-ভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫০ লাখ ৮৭ হাজার ৬৮৮ জনে। মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ২৫ কোটি ২১ লাখ ৩ হাজার ১৮৫ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২২ কোটি ৮১ লাখ ৬৭ হাজার ১২৪ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট সংক্রমিত হয়েছেন চার কোটি ৭৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬৯ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন সাত লাখ ৭৮ হাজার ৬০৯ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন কোটি ৭৬ লাখ ৬ হাজার ১২২ জন।
করোনায় ভারতে সংক্রমিত হয়েছেন তিন কোটি ৪৩ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৬ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৬১ হাজার ৮২৭ জনের। আর করোনা থেকে সেরে উঠেছেন তিন কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৩ জন।
করোনায় যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ নয় হাজার ৮১৪ জনের। মোট সংক্রমিত হয়েছেন দুই কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ২৫ জন। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ১১ লাখ ৮৮৮ জন।
তালিকায় এরপর রয়েছে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, আর্জেন্টিনা, স্পেন, কলম্বিয়া ও জার্মানি।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩০ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭১ হাজার ৬৬ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৯০৬ জন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে উঠেছেন ১৫ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশের হুবেই শহরে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। কয়েক মাসের মধ্যেই ভাইরাসটি বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।