দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ গত কয়েকদিনে কিছুটা কমেছে। তবে সার্বিক সংক্রমণ পরিস্থিতিকে প্রকৃতপক্ষে নিম্নমুখী বলার সময় হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রোববার দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ভার্চ্যুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এমনটি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, গত দুদিনে আমরা দেখেছি সংক্রমণের নিম্নমুখী প্রবণতা আছে, তবে এটি আসলেই নিম্নমুখী কি না, তা বলার সময় এখনও হয়নি। এ সময়টাতে আমরা যেন আত্মতুষ্টিতে না ভুগি। আমরা যেন আরও বেশি দায়িত্বের পরিচয় দিই। নাক মুখ ঢেকে মাস্ক পরিধান করাসহ যেসব স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে, সেগুলো মেনে চলি।
নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা দেখেছি বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হচ্ছে, সেখানেও আমরা সবার প্রতি আবেদন রাখতে চাই, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও নাক মুখ ঢেকে মাস্ক পরিধান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি বইমেলা শুরু হবে, তবে যেহেতু বিপুল লোক সমাগম হবে, স্টলগুলোতে যারা দায়িত্ব পালন করবেন এবং মেলা সংশ্লিষ্ট যারা থাকবেন, তাদের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে যাদের প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার পর দ্বিতীয়টির এসএমএস এসেছে, তারা যেন যথাসময়ে সেটি নিয়ে নেন।
যাদের বুস্টার ডোজের সময় হয়েছে এবং এসএমএস এসেছে, তারা যেন দ্রুততম সময়ে সেটি নিয়ে নেন। বইমেলায় অবশ্যই টিকা গ্রহণের যে সনদটি রয়েছে, সেটি যেন দৃশ্যমানভাবে প্রদর্শন করা যায়। এটি অন্যদের কাছে অনুপ্রেরণাদায়ক হতে পারে— যোগ করেন এ কর্মকর্তা।
অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, যাদের আগে থেকেই দীর্ঘমেয়াদী নানা রোগ আছে, তাদের কোনো ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন এবং প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি টিকার পাশাপাশি করোনাকালে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের আবিষ্কার হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে সেগুলো উৎপাদন হচ্ছে, বাংলাদেশেও সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা আপনাদের মাধ্যমে আমাদের চিকিৎসকসহ বন্ধুদের কাছে আমরা আবেদন রাখতে চাই, সুনির্দিষ্ট লক্ষণ ও নির্দেশনা ছাড়া কোনো অবস্থাতেই যেন এ ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা না হয়, কোনো অবস্থাতেই যেন এসবের অপব্যবহার না করা হয়।