1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন

কর্মকালের বেশীর ভাগ সময় যাচ্ছে মামলা ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় : মহাসচিব

আবু তাহের বাপ্পা
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৩

আবু তাহের বাপ্পা : কর্মকালের বেশীর ভাগ সময় যাচ্ছে সংস্থার সম্পদ রক্ষায় মামলা মোকাবেলা ও ষড়যন্ত্র রুখতে। টানা তিন বার মহাসচিবের দায়িত্ব পালনের পর আসন্ন  নির্বাচনে একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারি মো. আইয়ূব আলী হালাদার। সংস্থার চুড়ান্ত ভোটার তালিকা  প্রকাশের পর  তিনি জাতীয় অর্থনীতি এর সাথে একান্তে কথা বলেন,।

তিনি জানান, প্রতি টার্মে ৩ বছরের হিসেবে টানা ৯ বছর মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এ সময় অনেকের কাছে দীর্ঘ মনে হলেও ১৯৬৪ সালে জন্ম হওয়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে  সংস্থাটির অনেক কিছুই ছিলো এলোমেলো।  বিদ্যমান সম্পদ যে যার মতো করে লুটে খাওয়ার চেষ্টা করেছে। এমনকি দীর্ঘ এ সময়ের মধ্যে বিদ্যমান সম্পদের কর টুকু পরিমোধেরও উদ্যোগ নেয়নি কেউ। এটা অন্ধদের সম্পত্তি । এসব এমনি চলে যাবে এমন এক মানসিকতা থেকে এমন হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

কিন্তু আইয়ূব আলী হাওলাদার বলেন, কিন্তু তারা ভুলে বসেছিলো যে এটা আইন বা বিধিবদ্ধ একটি সংস্থা। এর অস্তিত্ব এবং কর্মকাঠামো ঠিক রাখতে হলে বিদ্যমান আইন ও বিধিমতে আচরণ করার কোন বিকল্প ছিলো না। এ কারণে সংস্থা জুড়ে এতকাল ছিলো নানা জটিলতা। তিনি মহাসচিব হওয়ার পর  প্রথমেই এসব বিষয়ে আইনী লড়াই শুরু করেন। কারণ পৌর কর না দেয়ার অজুহাতে ঢাকার ডিসি  তাদের প্রধান কার্যলয়ের বরাদ্ধ বাতিল করে দেয়। সে বাড়ী ফেরত পেতে  দীর্ঘ আইনী লড়াই করতে হয়েছে।  এর পর বাড়ী ফিরে পেয়েছেন তারা। জরাজীর্ণ সে ভবন  সংস্কারসহ তাকে ব্যবহার উপযোগী করার  ইতিহাসও অনেক কঠিন ও জটিল  ছিলো।

এর পর সাভারে থাকা অন্ধদের মার্কেটটি নিয়ে ছিলো অনেক জটিলতা। এখানেও খাজনা বাকি ছিলো। সংস্থার নামে  নাম জারি পর্যন্ত ছিলো না। সেই সাথে ছিলো দখল দারিত্ব। রাজনৈতিক দলের ছত্র ছায়ায় থাকা কোন কোন ব্যক্তি এ সম্পদকে তাদের পৈত্রিক সম্পদ মনে করতো।  তাদের কবল থেকে অন্ধ সংস্থার সম্পদ উদ্ধারে  একাধারে আইনী লড়াইসহ মাস্তানদের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে তাকে।

তিনি জানান, একটি মহল তথ্য গোপন করে সরকারের উপর মহলে নানা অপপ্রচার করছে। সেই সাথে তারা নির্বাচন বানচালেরও চেষ্টা করছে।  তিনি আরো জানান, সারা দেশে তাদের ৪২ টি জেলায় অফিস ও কার্যক্রম রয়েছে। সেই সাথে তাদের চুড়ান্ত ভোটার রয়েছে ১৮২ জন। যারা ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করবেন। এ ব্যাপারে আইনের ভেতর থেকেই তিনি সব কিছু করছেন। তিনি জানান, অন্ধদের কল্যাণে যতটুকু সম্ভব সব কিছু করার চেষ্টা করছেন তিনি। সামনের দিনে  জমে থাকা সমস্যা সমাধান করে সংস্থাকে একটি আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তুলতে কাজ করছেন তিনি। এখানে অন্ধদের জন্য বেশ কিছু কাজ নিজেদের উদ্যোগেই করা হয়। দেশী বা আন্তর্জাতিক কোন অনুদান তাদের নেই।

তিনি বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের জন্য মঙ্গল জনক কিছু কাজ কের যেতে চান তিনি। সেই সাথে সরকার উদরতার সাথে দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের প্রাপ্য সুযোগ গুলো মানবিকভাবে বিবেচনা করবেন। আর কিছু গণমাধ্যম না জেনে অপপ্রচার মূলক কিছু প্রতিবেদন প্রচার করছে। যা তাদের ব্যথিত করছে।

তিনি দায়িত্বশীল গণমাধ্যম হিসেবে সবার কাছে সঠিক তথ্য জেনে প্রতিবেদন  প্রচারের অনুরোধ জানান।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি