‘অঙ্গীকারের কাচ্চি বিরিয়ানি নয়, নগরের বিপুল জনগোষ্ঠীকে ন্যূনতম সেবা দিতে পারাটাই আসল যোগ্যতা। সবার সহযোগিতা পেলে যোগ্যতার পরীক্ষায় জিতব বলে আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার শেষ কথা এমনই। আজ শনিবার দুপুরে নগরের প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দলটির ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। ইশতেহার পাঠ করেন প্রার্থী নিজেই।
ইশতেহারে রেজাউল করিম নগর উন্নয়ন এবং পরিচালনায় ৩৭ দফা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। তাতে জলাবদ্ধতা নিরসন, ১০০ দিনের অগ্রাধিকার কর্মসূচি, যানজট সমস্যা থেকে উত্তরণ, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, নালা-নর্দমা, খাল-নদী দখলদার উচ্ছেদ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পর্যটন রাজধানী হিসেবে চট্টগ্রামকে গড়ে তোলা, হোল্ডিং ট্যাক্স এবং চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে সমন্বয়কের ভূমিকা পালনের প্রতিশ্রুতি দেন।
তবে ইশতেহারে মশক নিধনের মতো জরুরি বিষয় নেই। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি। রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মশার অত্যাচারের কথাটা সত্য।
যানজট নিরসনে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে বসে যত দ্রুত সম্ভব তা দূরীকরণে মনোযোগ দেবেন বলে আশ্বাস দেন রেজাউল করিম চৌধুরী। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেম এবং নিরাপদ পথচারী পারাপারে আন্ডারপাস চালু করতে চান তিনি। নালা–খাল–নদীর দখলদার উচ্ছেদে অভিযান চালানোর পাশাপাশি খাল–নদীর নাব্যতা ফেরাতে চান রেজাউল করিম। বর্জ্য অপসারণে নজরদারি বাড়ানো, পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্যের ডাম্পিং ইয়ার্ড করে রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট তৈরি করার আশ্বাস দেন তিনি। পর্যটনসুবিধা কাজে লাগিয়ে ও সৈকত পর্যটনের আধুনিক সুবিধা যোগ করে নগর উন্নয়নে বাড়তি আয়ের ওপর জোর দিতে চান তিনি।
তবে ইশতেহারে মশক নিধনের মতো জরুরি বিষয় নেই। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি। রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মশার অত্যাচারের কথাটা সত্য।
ইশতেহারে রেজাউল করিম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘এই শহরে এককভাবে অনেকে অনেক চিন্তা করেন। ব্যক্তি ও সমষ্টির চিন্তায় পার্থক্য আছে। শুধু স্মৃতিসৌধ নয়, এই নগরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত অনেক কিছু আছে। লক্ষ্য নগরীর সব শ্রেণি–পেশার মানুষকে নিয়ে কীভাবে নান্দনিক আধুনিক শহর করা যায়। নতুন প্রজন্ম যেন জানতে পারে, চট্টগ্রামে ছয় দফা ঘোষণা হয়েছে। গান্ধী বলেছিলেন, চিটাগাং টু দ্য ফোর। এম এ আজিজ এক দফার কথা বলেছিলেন। কারও সঙ্গে পরামর্শ না করে চট্টগ্রামকে সাজাব না। সবার মত নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।’
অতীতের সব ভুল ছুড়ে ফেলে চট্টগ্রামকে সর্বাধুনিক বাসযোগ্য বিশ্বমানের উন্নত ও নান্দনিক নগর হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী।
গৃহকর নিয়ে নানা সময়ে বিতর্ক তৈরির বিষয়টি উল্লেখ করে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বিতর্ক অবসানে ডিজিটাল গৃহশুমারি করে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটে কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেভাবে যৌক্তিক হারে গৃহকর নির্ধারণ করা হবে। নাগরিক সেবা চালু রাখতে করদাতাদের স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতাও পূর্বশর্ত।