আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল কাদের মির্জাকে বহিষ্কারের সুপারিশ ও সংগঠনের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত ২ ঘণ্টা পরই স্থগিত করা হয়েছে।
শনিবার বিকাল ৪টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের প্যাডে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর স্বাক্ষরীত এক চিঠিতে আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ ও সংগঠনের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়। এর ২ ঘণ্টা পর তা আবার স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে জেলা শহরে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
অব্যাহতি পত্রে উল্লেখ কর হয়, গত কয়েক মাস থেকে আবদুল কাদের মির্জা দলীয় নেতা ও কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে তাদের গুরুতর আহত করায় এবং আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলার নেতাদের সর্ম্পকে মিথ্যা ও অশালীন বক্তব্য দিচ্ছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সভা সমাবেশে আপত্তিকর মন্তব্য এবং ফেসবুক লাইভে এসে সংগঠনবিরোধী বক্তব্য, মন্তব্য করায় এবং নেতাকর্মীদের হুমকি দেওয়া তাকে সংগঠনের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সংগঠনবিরোধী ও দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকায় আবদুল কাদের মির্জাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কার্যনির্বাহী সংসদের সংসদ বরাবর সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আবদুল কাদের মির্জা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের কোন কমিটি নাই। এদের সঙ্গে আমার কোন সংপৃক্ততা নেই। এই অবৈধ কমিটির কোন অস্তিত্ব নেই। এ কমিটি আমাকে বহিষ্কার করার ক্ষমতা রাখে না।
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বলেন, অনিবার্য কারণবসত এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে।