নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের ৪২ নেতা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল কাদের মির্জাকে ফের দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছেন।
দলীয় গঠনতন্ত্রের সম্পূর্ণ পরিপন্থী বক্তব্য রাখার অভিযোগে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত দলীয় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করে। এছাড়াও একই সভায় উপস্থিত ৪২ নেতা আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে ভবিষ্যতে কোনো প্রকারে দল করবেন না বলে শপথ নেন।
এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি কাদের মির্জাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের ২ ঘণ্টার মধ্যে ফের সেই আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াতের সভাপতিত্বে চরকাঁকড়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে দলীয় ওই সভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, ফখরুল ইসলাম রাহাত, সাবেক ছাত্রনেতা আলাল, চরহাজারী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, চরএলাহী ইউপি চেয়ারমান আবদুর রাজ্জাকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান বলেন, বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর বিষয়ে গণমাধ্যমকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।
তবে তিনি আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে ভবিষ্যতে রাজনীতি না করার বিষয়ে এবং তাকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ কেন্দ্র ও জেলায় পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
একই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী জানান, আবদুল কাদের মির্জাকে বহিষ্কারের বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় ৭১ সদস্যের মধ্যে ৪২ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বিগত দুই মাস যাবৎ কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের সমালোচনা করে আসছিলেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মেয়র কাদের মির্জা ও তার প্রতিপক্ষ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিক মুজাক্কির খুন হওয়ার ঘটনাসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা আসায় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করে দেয়।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোনয়ন বিষয়ে মঙ্গলবারের সভাটি হয়।