আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে হুড়োহুড়ির ঘটনায় ৭ আফগান নাগরিক নিহত হয়েছে। তালেবান দেশটির শাসনক্ষমতা গ্রহণের পর সাধারণ আফগানদের মধ্যে সৃষ্ট আতঙ্কে দেশছাড়ার হিড়িকের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটল।
আজ রবিবার (২২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নিহতদের সবাই বেসামরিক সাধারণ আফগান নাগরিক। অবশ্য রবিবার এই বিবৃতি প্রকাশ করা হলেও কবে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, সেটি পরিষ্কার করা হয়নি।
ওই বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ‘দেশত্যাগে ইচ্ছুক মানুষদের ভিড়ের মধ্যে নিহত সাতজন সাধারণ আফগান নাগিরকের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি এখনো অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে যতটা সম্ভব নিরাপদে সবাইকে বের করে আনার কাজ করে যাচ্ছি আমরা।’
এদিকে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক আতঙ্কিত আফগানরা বিমানবন্দরে জড়ো হওয়ার পর সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার কারণে ৭ জন নিহত হয়েছেন বলে স্বীকার করেছে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী।
বার্তা সংস্থাটি বলছে, দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক আফগান নাগরিকরা জড়ো হওয়ার পর তাদেরকে সরাতে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে তালেবান যোদ্ধারা। এতে হুড়োহুড়ি ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং পদদলিত হয়ে ৭ জন নিহত হয়।
এদিকে সাতজন সাধারণ আফগান নাগিরকের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে বিবিসি জানিয়েছে, বর্তমানে প্রায় সাড়ে চার হাজার মার্কিন সেনা কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি নিয়ন্ত্রণ করছে। এছাড়া আটকে পড়াদের ফিরিয়ে নেওয়ার ফ্লাইট চলাচল নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরে প্রায় ৯০০ ব্রিটিশ সেনাও মোতায়েন রয়েছে।
তবে বিমানবন্দরের বাইরের সব রাস্তা ও চেকপয়েন্টগুলোয় পাহারা দিচ্ছে তালেবান যোদ্ধারা। বিমানবন্দরে যাওয়ার সড়কও তাদের দখলে। যথাযথ ভ্রমণ নথিপত্র না থাকলে দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক আফগান নাগরিকদেরকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে যেতে দিচ্ছে না তালেবান।