কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মোসলেম প্রধানের (৬৮) মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ তার মৃত্যু হয়।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেলার আবু সায়েম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মৃত মোসলেম প্রধান কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার কামারহাটি এলাকার মৃত লাবু শেখের ছেলে। শুক্রবার রাতে তার মরদেহ নিকলীর গ্রামের বাড়িতে আনা হয়।
এদিকে, তার জানাজায় অংশ নিতে পরিবারের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। পরে শুক্রবার গভীর রাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে জানাজা শেষে মোসলেমের মরদেহ দাফন করা হয়।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ মোসলেমের বুকব্যথা শুরু হলে কারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোসলেমের মরদেহ গাজীপুর থেকে গ্রামের বাড়ি নিকলী উপজেলা সদরের কামারহাটি গ্রামে আনা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে শনিবার সকালে জানাজা হবে বলে মাইকিং করা হয়। এতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। পরে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে দাফন করা হয়।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেলার আবু সায়েম বলেন, যুদ্ধাপরাধ মামলায় মোসলেম ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। ২০১৭ সাল থেকে তিনি এ কারাগারে বন্দি ছিলেন। মোসলেম দীর্ঘদিন ধরেই নানা রোগে ভুগছিলেন।
হত্যা, অপহরণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অপরাধে ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল মানবতাবিরোধী অপরাধে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে মোসলেমকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
২০১৫ সালের ৬ জুলাই গভীর রাতে কামারহাটি গ্রাম থেকে রাজাকার মোসলেমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিনই তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এরপর থেকে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ ছিলেন।