গোলাম রব্বানী: নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কলাবাড়ীয়া আনিস শেখ হত্যাকান্ডের জেরে আসামী পক্ষের বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাদী পক্ষের লোকজন ৩ জুন (সোমবার) দিবাগত রাত ১০ টা থেকে রাত ২ টা পর্যন্ত আসামী পক্ষের ৫ টি পরিবারের ১৩ টি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। এ ছাড়া ঢাকায় থেকেও আসামী হয়েছেন মৃত জালাল শেখের দুই ছেলে ইরফান ও ইনসান এবং শহিদ শেখের ছেলে ইয়াসিন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চরকান্দিপাড়ার আসামী পক্ষের মঞ্জুর শিকদার, মনির শেখ, শহিদ শেখ, খোকা মোল্যা ও এরফান শেখসহ ৫টি পরিবারের ১৩ টি বাড়ী ভাংচুরসহ ব্যবহার্য আসবাবপত্র কুপিয়ে ও ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি পরিবারের গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী ও কবুতরসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লুট করেছে বলে জানান পুরুষ শূণ্য বাড়ীর ভুক্তভোগী মহিলারা।
ঢাকায় থেকেও আসামী হওয়া ইরফান ও ইনসান শেখের মা বলেন, আমার দুটি ছেলে ঢাকায় থাকে তাদের ও আসামী দেছে এবং আমার ঘরের সবকিছু চুরমার করে ফেলেছে।
ইরফানের বোন লিপি বেগম বলেন, আমার দুটোরভাই ঢাকায় থাকে তাই আমরা ভেবেছি আসামী হবো না। তাই ঘরের কোন মাল জিনিস আমরা সরাই নাই। রাত্রে হঠাৎ করে আমাদের বাড়ি ভাংচুর করে অনেক জিনিসপত্র নিয়ে গেছে এবং যা নিতে পারেনি ভেঙ্গে রেখে গেছে।
শহিদ শেখের স্ত্রী বলেন, আমার ছেলে ইয়াসিন ঢাকায় থেকেও আসামী হয়েছে। পুরুষ মানুষ কেউ বাড়ী নেই। রাতে আমাদের চারটি ঘর ভেঙ্গে ফেলেছে। আমাদের ৫ টি গরু একটি ফ্যান খুলে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষরা।
আসামী মঞ্জুর শিকদারের মা জানান, গত রাত ১১ টার সময় ১৫/২০ জন লোক এসে বাড়ীঘর ভাংচুর করে এবং আজ সকাল ১১টার দিকে তাদের ১৫০ টি হাঁস লুট করে নিয়ে যায়।
আসামী ওসিকার শেখের ছেলে শেখ রিয়াজ বলেন, আমার বাবা একজন মাদ্রাসা শিক্ষক, তিনি আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জন ক্ষম ব্যক্তি। আমার বাবর কিছু হলে আমাদের ৪ ভাইবোনের লেখাপড়া মাটি হয়ে যাবে। নিহত আনিসের আপন খালাত ভাই নড়াগাতী থানায় কর্মরত কনষ্টেবল রিয়াদ মোল্যা সিভিল পোষাকে গিয়ে নানা হুমকি দিচ্ছে। এ ছাড়া কাউকে আটক করলে থানায় ২৪ ঘন্টার বেশী আটকের নিয়ম না থাকলেও আমার বাবাবে ৭২ ঘন্টা পরে চালান করা হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ভাংচুরের বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।