জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আসছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবারের জাতির পিতার জন্মদিনের সব কর্মসূচি তার জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায় করার ঘোষণা হয়েছে।
‘হৃদয়ে পিতৃভূমি’ শিরোনামে সাত দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হবে এবার টুঙ্গিপাড়ায়।
এদিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও শোভাবর্ধণসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য সমাধি সৌধের ১ নম্বর গেটে বিশালাকৃতির প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। টুঙ্গিপাড়া শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ মাঠে সপ্তাহব্যাপী লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। টুঙ্গিপাড়াসহ জেলায় নেওয়া হয়েছে তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ১১টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে পৌঁছাবেন। এরপর প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী সমাধি সৌধ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ফাতেহাপাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেবেন। এ সময় তিন বাহিনী কর্তৃক গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি সকাল সকাল ১১টা ৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। এরপর দুপুর ১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভায় যোগ দেবেন। বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় শিশু দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিকেল ৫টায় প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার মো. নবীরুল ইসলাম ও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো এক ফ্যাক্স বার্তায় এসব তথ্য জানা গেছে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও শোভাবর্ধণ এবং আলোচনাসভার জন্য প্যান্ডেল নির্মাণসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেছে। বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স বর্ণিল আলোয় সাজানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ১৮ মার্চ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ, ১৯ মার্চ ছাত্রলীগ, ২০ মার্চ শ্রমিক লীগ, ২১ মার্চ কৃষক লীগ, ২২ মার্চ যুবলীগ, ২৩ মার্চ যুব মহিলা আওয়ামী লীগ, ২৪ মার্চ মহিলা আওয়ামী লীগ এবং ২৫ মার্চ স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়া ১৯ থেকে ২৫ মার্চ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। লোকজ মেলা হবে ১৯ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত।
টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে। টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানিয়ে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণস্থানে বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সড়কের দুই পাশ বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে।
এছাড়া টুঙ্গিপাড়া পৌর এলাকায় শোভাবর্ধনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা ও প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যাচ্ছে।