আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর প্রথমবারের মতো ভারতশাসিত কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করল তালেবান। তারা ভারতশাসিত কাশ্মীরে বসবাসরত মুসলিমদের ব্যাপারে আওয়াজ তুলবে বলে জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন বিবিসিকে এ কথা বলেছেন।
সুহাইল বলেন, একজন মুসলিম হিসেবে ভারতের কাশ্মীর ও অন্য যেকোনো দেশের মুসলিমদের পক্ষে কথা বলার অধিকার তালেবানের রয়েছে। তবে তিনি জানান, কোনো দেশের বিরুদ্ধে সশস্ত্র তৎপরতা চালানোর নীতি তালেবানের নেই।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশ ভারত ও পাকিস্তান শাসন করছে। তবে উভয় দেশই পুরো কাশ্মীর নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। ভারতশাসিত কাশ্মীরে ৩০ বছর ধরে সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।
তালেবানের আরেক মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ পাকিস্তানভিত্তিক এক টেলিভিশন চ্যানেলে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তিনি সব সমস্যার সমাধানে ভারত ও পাকিস্তানকে একত্রে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম সিএনএন-নিউজ ১৮-এর সঙ্গে আলাপে তালেবান নেতা আনাস হাক্কানি বলেছিলেন, কাশ্মীর তাঁদের আওতাভুক্ত বিষয় নয়। কাশ্মীর নিয়ে হস্তক্ষেপ তাঁদের নীতিবিরোধী।
পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের এক অনুষ্ঠানে সম্প্রতি অংশ নেন দেশটির ক্ষমতাসীন দল পিটিআইয়ের এক নেতা। ওই অনুষ্ঠানের ভিডিও ক্লিপে তাঁকে বলতে দেখা যায়, ‘তালেবান বলেছে, তারা আমাদের সঙ্গে আছে। কাশ্মীরে তারা আমাদের সাহায্য করবে।’
আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানের হাতে যাওয়ার পর সংগঠনটির কোনো অংশ ভারতশাসিত কাশ্মীরের দিকে নজর দিতে পারে বলে ভারতের অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। অতীতে কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসসহ দেশটির স্থাপনায় হামলার পেছনে তালেবানের অন্তর্ভুক্ত হাক্কানি নেটওয়ার্কের হাত থাকার অভিযোগ আছে। এসব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে সম্প্রতি তালেবানে সঙ্গে আলোচনায় বসে ভারত।