মো. আল আমিন, জেলা প্রতিনিধি: সম্প্রতি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দু’জন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। দলটির দাবি মিথ্যা ও গায়েবী মামলা এটি। এর প্রতিবাদে সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালের দিকে মানববন্ধন করে দলটির উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ । শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের এক পর্যায়ে অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত ৷ দলটির পক্ষ থেকে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক কাইয়ুম খান হেলালের লোকজনের প্রতি অভিযোগ করা হয়। বলা হয়, কাইয়ুম খান হেলালের নির্দেশেই হামলা চালায় তার সমর্থকরা। এ ঘটনায় স্থানীয় সংবাদকর্মী সহ মোট ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সরারচর বাজারে অবস্থিত রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটির উপজেলা শাখা কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে দলটির উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সেলিম হায়দার প্রথমে কথা বলেন। সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার মুখে তিনি বলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ও হুমাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাইয়ুম খান হেলাল তার লোক দিয়ে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দু’জন কর্মীর নাম আছে । প্রতিবাদস্বরূপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, এ নিয়ে গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার বাঁশমহল এলাকায় মানববন্ধনের আয়োজন করি । লোকজন জড়ো হতে থাকে এমতাবস্থায় কাইয়ুম খান হেলাল এর নির্দেশে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের পাঁচ নেতা কর্মীকে আহত করে। হেলাল খান একজন লেবাসধারী লোক। দেখতে চরমোনাই পীরের মুরিদের মতো। আসলে একজন নদী দখলবাজ লোক সে। এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য দলের পরিচয় বহন করে । মামলায় তার নাম না দিতে বিভিন্নভাবে আমার উপর চাপ দিচ্ছে ।
এসময় মূল অপরাধীরা যেন আসামির তালিকা হতে বাদ না পড়ে সে জন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতাও চান তিনি।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন ইসলামী আন্দোলনের এ নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলটির উপজেলা শাখা কমিটির সভাপতি শেহজাদ ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান চাঁন, শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি রিয়াজুল্লাহ রিয়াজ, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ শরিফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম প্রমুখ ।