রুশ সেনাদের বিশাল বহর কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে কিয়েভকে প্রায় ঘিরে ফেলেছে। পাশাপাশি হামলাও চালাচ্ছে তারা।
শনিবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
রাজধানী ও এর পশ্চিমে জাইটোমিরে বিমান হামলার সাইরেন বাজতে শোনা গেছে। বাসিন্দাদের বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে সতর্ক করা হয়েছে। কিয়েভে সাংবাদিকরা ভারী গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন।
সিএনএন বলছে, কিয়েভের আশেপাশে প্রচণ্ড গোলাগুলি ও বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
ইউক্রেনের রাজধানীর আশেপাশে লড়াই অব্যাহত আছে। শহরের প্রশাসন বলেছে বুচা, ইরপিন এবং হোস্টোমেলের পাশাপাশি কিয়েভের আরও উত্তরে ভিশোরোদ জেলাসহ উত্তরের অঞ্চলগুলো সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। শহরের পূর্বে, ডিনিপার নদীর ওপারে ব্রোভারিতেও লড়াই চলছে।
মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ সেনারা কিয়েভকে চার দিক থেকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইট কোম্পানি ম্যাক্সার টেকনোলজিসের চিত্রে দেখা গেছে কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমে বেশ কয়েকটি জায়গায় আগুনের ছবি। ইউক্রেনের হোস্টোমেলের আন্তোনোভ বিমানবন্দরে আগুনের চিত্র দেখা গেছে।
আরেকটি স্যাটেলাইট চিত্রে ম্যাক্সার জানিয়েছে, আমরা কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমে মোসচুনে বাড়িঘর জ্বলতে দেখেছি। স্যাটেলাইট কোম্পানিটির দাবি, ছবিতে রাজধানীর উত্তর-পশ্চিমে শহর জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়গুলোও দেখা সম্ভব।
সাঁজোয়া যান, ট্যাংক ও কামান নিয়ে কিয়েভের পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে রুশ সেনাদের দেখা গেছে। কিয়েভের উত্তরে রুবিয়াঙ্কা শহরের কাছে রুশ সেনাদের দেখা গেছে। উত্তর–পূর্ব দিক থেকে রুশ সেনাদের একটি বহর রাজধানীর দিকে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক কোম্পানি এনারগোটমের প্রধান পেট্রো কোটিন বলেছেন, ‘রুশ সেনারা জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রবেশ করে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছেন।’
তিনি জানান, রুশ বাহিনী প্ল্যান্টের ইউক্রেনীয় কর্মীদের বলেছে, এটি এখন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটমের অধীনে।
খবর বিবিসি ও রয়টার্স