মোঃ আনজার শাহ, বরুড়া উপজেলা প্রতিনিধি : কুমিল্লা বরুড়ায় গণধর্ষণ মামলার তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে বরুড়া থানা পুলিশ।
৫০০ টাকার জন্য মাদকাসক্ত স্বামী তার স্ত্রীকে `মাদক কারবারি’র হাতে তুলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মাদক কারবারিসহ তিনজনের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ওই নারী। ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী তার বাবার বাড়ি জেলার মুরাদনগরে চলে যান। ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং (শুক্রবার) ভুক্তভোগী নারীর মা থানায় এসে মামলা দায়ের করেন।
উক্ত অপরাধে ভুক্তভোগীর মা বাদি হয়ে বরুড়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে বরুড়া থানার চৌকস টিম ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং (শুক্রবার) বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ও বিশ্বস্ত গুপ্তচরের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে বরুড়া উপজেলার শাকপুর এবং নরিন্দ্রপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত তিন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
তারা হলেন- শাকপুর গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে মোঃ নুরুল ইসলাম প্রকাশ নুরা (৩০), মৃত আবুল বাশারের ছেলে মনির হোসেন (২২) এবং মোঃ নুরুল আলমের মহিন উদ্দিন (৩৮)।
পারিবারিক ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সুমাইয়া আক্তার সাদিয়ার সাথে ৬ বছর পূর্বে বিবাদী আবুল খায়ের এর বিবাহ হয়। তাদের সংসারে দুটি সন্তানও আছে। সাদিয়ার স্বামী আবুল খায়ের প্রায়ই কাজ কর্ম করে না। সে আজে বাজে চলাফেরা করে এবং খারাপ লোকদের সাথে চলাফেরা করে এবং সে মাদকাসক্ত ছিল।প্রায়ই মাদকের টাকার জন্য প্রায় সময় সাদিয়াকে বিভিন্ন ধরনের খারাপ প্রস্তাব দেয়।
মামলার নথির বরাতে ওসি জানান, সাদিয়ার স্বামী নুরুর কাছ থেকে নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। মাদকের ৫০০ টাকার জন্য ১৬ এপ্রিল ২০২৪ইং (মঙ্গলবার) রাতে স্ত্রীকে তিনি কৌশলে মাদক কারবারী নুরুর হাতে তুলে দেন। স্বামীর উপস্থিতিতে গৃহবধু সাদিয়াকে তার ঘরেই তাকে ধর্ষণ করেন নুরু। এরপর ১৭ এপ্রিল ২০২৪ইং (বুধবার) আবারো সাদিয়াকে জোর করে নিজ বাড়িতে নিয়ে ফের ধর্ষণ করেন। পরে বুধবার গভীর রাতে নুরু তার সহযোগী মনির ও মাহিনকে সঙ্গে নিয়ে সাদিয়াকে জমিতে পানি সেচ দেওয়ার গভীর নলকূপের মেশিন ঘরে নিয়ে যান। সেখানে তারা সাদিয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
আসামীদেরকে গ্রেফতারের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীগন গণধর্ষণ এর কথা স্বীকার করে। আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে এবং তবে সাদিয়ার স্বামী এখনো পলাতক, তাকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বরুড়া থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী।