মো: ফয়েজ আহাম্মদ, কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ০৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে নুরুল আমিন নামে এক ব্যক্তি। মামলার বিবরণে জানা যায়, উল্লেখিত বিবাদীগণ পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব-পরিকল্পনা মাফিক বাদী সিএনজি নিয়া বাড়ী হইতে চলিয়া যাওয়ার পর বিবাদীগণ বাদীর মেয়ে ভিকটিম নুরজাহান(১৮) ও খাদিজা বেগম(৬) কে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অজ্ঞাত স্থানে নিয়া যায়। বাদী অনেক খোঁজাখুঁজি করিয়াও তাদের সন্ধান পায় নাই। বাদী পরবর্তীতে লোক মারফত জানতে পারে, গত ১০ নবেম্ভর ২৪ ইং বিবাদীগন অপহরনের পর কোন এক সময় ঢাকা তেজগাঁও শিল্প এলাকায় নিয়া পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক সংক্ষুব্ধ হইয়া ভিকটিম নুরজাহানকে ষড়যন্ত্র করিয়া মারিয়া ফেলিয়াছে বলে সন্দেহ হওয়ায়, বাদী বিজ্ঞ আদালতে ১৩ নবেম্ভর ২৪ ইং ১।মো: নজরুল ইসলাম(৫৭) ২।আমিন মিয়া (৫৫) ৩। মনি বেগম (৩৫) ৪।মোসা: মোরশেদা আক্তার (৩৭) সর্বপিতা: মৃত আবদুল আজিজ, সর্বসাং- বানাশুয়া, পো: বানাশুয়া, থানা:কোতয়ালী মডেল,জিলা: কুমিল্লা-গণদের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৬৫/৩৪ দ:বি: ধারায় মামলা করেন।উল্লেখ্য ভিকটিম নুরজাহান যেহেতু ঢাকা পূর্ব নাখাল পাড়ায় থাকতেন এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়।তাই এলাকাটি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন হওয়ায়, সেই থানায় ভিকটিম(মৃত) নুজাহানের মা একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। অপমৃত্যু মামলা নং ১০/২৪ ইং তাং- ১০/১১/২৪/ইং। ভিকটিম নুজাহানের মৃত্যু কিভাবে হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার এস আই (নিরস্ত্র) মো: সাকিব তালুকদারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।। একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়, সংবাদ দাতার স্বামী নুরুল আমিন জীবিত আছে।অথচ স্বামীকে মৃত দেখিয়ে কেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মৃত্যু সংবাদ অবহিত করলেন! পরবর্তীতে সি,আর ১৭৪৫/২৪ ইং মামলার বাদী নুরুল আমিন এবং জেঠাত ভাই বদিউল আলম @বালিকে নিয়ে তেজগাঁও থানায় গিয়ে ভিকটিম নুরজাহানের মৃত্যুর কাগজ পত্র নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে ২৩ জানুয়ারী ২৫ ইং তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাকিব তালুকদারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে, এই প্রতিনিধিকে তিনি জানান– এখনো শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ থেকে ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসে নাই। এদিকে ভিকটিম নুরজাহান (মৃত) এর বাবার দায়েরকৃত ১৭৪৫/২৪ ইং মামলা দায়েরের পর কুমিল্লার বিজ্ঞ আদালত, ওসি, কোতয়ালী মডেল থানাকে মামলার বিষয়ে খোজঁখবর নেওয়ার নির্দেশ দেন। বর্তমানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আনোয়ার ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ি। এই প্রতিনিধি মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ময়না তদন্ত রিপোর্ট এখনো আসে নাই। এদিকে মামলা দায়েরের পর হইতে বিবাদী পক্ষ বিভিন্ন লোক মারফত মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে হুমকী দিচ্ছে বলে জানান।