কুমিল্লা প্রতিনিধি : যৌতুকের দাবি মিটাতে না পেরে স্বামীর হাতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। ওই গৃহবধূর অভিযোগ বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা এনে দিতে রাজি না হওয়ায় ঘুমের ঔষধ খাইয়ে যৌন লালসা পুরনের লম্বা স্টীলের একটি যন্ত্র (ডিলডো) যৌনাঙ্গে ব্যবহার করে তাকে গুরুত্বর আহত করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার দিবাগত রাতে স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী শাকিবকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের ভূবনঘর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্র ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত প্রায় আট বছর আগে ভূবনঘর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে শাকিব (২৭) এর সাথে বিয়ে হয় পাশের দেবিদ্বার উপজেলার পূর্ব নবীপুর গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে নিপা আক্তরের (২৪)। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে নিপা আক্তারের ওপর চলে অত্যাচার নির্যাতন। এ অবস্থায় নিপার বাবার কাছ থেকে কয়েক দফায় প্রায় পাঁচ লাখ দশ হাজার টাকা এনে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই ফের যৌতুক দাবিতে চলে নির্যাতন। গত দেড় মাস আগে জমি কেনার কথা বলে আরো দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে শাকিব। গত মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) নিপা জানিয়ে দেন তাঁর বাবার পক্ষে আর টাকা দেওয়া সম্ভব না। এ কথা শুনে শাকিব তার স্ত্রী নিপাকে এলোপাথারী ভাবে মারধর করে। পরে ওই দিন রাতেই শাকিব তার স্ত্রী নিপাকে এলার্জির ঔষধের কথা বলে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে দেয়। একপর্যায় নিপা ঘুমিয়ে গেলে শাকিব যৌন লালসা পুরনের লম্বা স্টীলের একটি যন্ত্র (ডিলডো) তার স্ত্রীর যৌনাঙ্গে ব্যবহার করে গুরুত্বর আহত করে। এসময় নিপার চিৎকারে আশপাশের মানুষ ছুটে এলে শাকিব ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে নিপা তার বাবার বাড়ির লোকজনকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘটনাটি জানান। খবর পেয়ে নিপার মা হালিমা বেগম এসে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই দিন রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপালে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাদেকুর রহমান বলেন, নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতে অভিযুক্ত শাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।