দক্ষিণ কুমিল্লা তথা বৃহত্তর লাকসাম বিএনপি’র গুম হওয়া জনপ্রিয় শীর্ষনেতা হিরু-হুমায়ুন এর সন্ধান ও মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদী মৌন মিছিল কুমিল্লা লাকসাম উপজেলা পৌরসভা বিএনপি।
বুধবার (২৭নভেম্বর) বিকালে বিএনপির আয়োজনে শহরের লাকসাম এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা। পরে মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষ করে লাকসাম প্রেসক্লাবে সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন,ডাকসুর সাবেক সদস্য,ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী। মোঃশফিকুর রহমান সফিক সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম হিরু,মোঃরাফসান ইসলাম।বিএনপির নেতা হুমায়ুন কবির পারভেজের ছোট ভাই গোলাম ফারুক।হুমায়ুন কবির পারভেজের,মোঃশাহরিয়ার কবির(রাতুল)।মনোহরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক ৪বারের সভাপতি মোঃইলিয়াছ পাটোয়ারী।মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোঃইউসুফ ভূঁইয়া।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি জেনারেল জনাব,সরোয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী। সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব,আব্দুল মমিন সাহেব।লাকসাম উপজেলা আমীর জনাব,জয়নাল আবেদীন পাটোয়ারী ভাই।মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল আলম বাচ্চু প্রমুখ।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইলিয়াছ পাটোয়ারী চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে বলেন,অনন্ত অপেক্ষার এগারো বছর।কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা দিন লাকসাম বিএনপি’র জনপ্রিয় দুই শীর্ষ নেতা হিরু- হুমায়ূন কোথায়?দক্ষিণ কুমিল্লা তথা বৃহত্তর লাকসামের দুই সিংহ পুরুষ হিসেবে ক্ষ্যত লাকসাম উপজেলা বিএনপির ও লাকসাম দৌলতগুন্জ বাজারের বনিক সমিতির দীর্ঘ সময়ের সভাপতি, সাবেক এম পি, সাইফুল ইসলাম হিরু এবং লাকসাম পৌরসভা বিএনপির সভাপতি লাকসাম বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ি হুমায়ুন কবির পারভেজ গুম হওয়ার ১১ বছর পূর্ণ হলো আজ। তারা দুই জন ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর আমেরিকা সহ পশ্চিমা বিশ্বে নিষিদ্ধ বাংলাদেশের বিতর্কিত এলিট ফোর্স RAB কতৃক গুম হন।হুরু-হুমায়ুন গুম হওয়ার সেই তারিখ থেকে গত ১১ বছর যাবত তাদের পরিবার,স্থানীয় বি এন পি লাকসামের সুশীল সমাজ ও সামাজিক সংগঠনের নেত্রী বৃন্দু বিভিন্ন গন মাধ্যমের প্রতিবেদন,এবং এখানকার প্রায় সকল শ্রেনি পেশার মানুষ সহ সাধারন আম জনতা সূত্রে জানা যায়। ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর সদ্য পতিত মাপিয়া সরকার প্রধান খুঁনি হাসিনার পতনের দাবিতে,বিএনপি’র ঘোষিত উত্তাল আন্দোলনে স্থানীয় পুলিশ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের যৌথ হামলায় গুরুতর আহত বিএনপি’র কয়েকজন নেতা কর্মীদের দেখতে যান। ঔ দিন সন্ধ্যার পর লাকসামের জনপ্রিয় এই দুই বিএনপি’র নেতা তাদের প্রতিবেশি লাকসাম পৌরসভার বিএনপি’র ততকালীন সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিনকে সাথে নিয়ে এম্বুলেন্স যোগে লাকসাম পৌর এলাকা দিন নিজ বাড়ি থেক জেলা সদর কুমিল্লা একটি হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। ঠিক তখন-ই এম্বুলেন্সের পিছু নেই তারেক সাইদের, লেলিয়ে দেওয়া RAB এগারো এর একটি টিম। এবং লাকসামের আলিশ্বর বাজারে তাদের এম্বুলেন্সের গতিরোধ করেন। এবং এম্বুলেন্সের ড্রাইবারকে খুব মারধর করেন, এবং হিরু হুমায়ূনকে জোরপূর্বক RAB এর একটি কালো গাড়ীতে উঠিয়ে নেন, এবং পরের দিন তারেক সাঈদের লোকেরা লকসামে এসে সাইফুল ইসলাম হিরু হুমায়ূনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার মেইলে হামলা করেন। অফিস আসবাবপত্র ভাংচুর করেন এবং ক্যাশে থাকা ১৫ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়, এবং অফিসে থাকা সকল কর্মকর্তা কর্মচারিদের মারধর করে তাদের কে লাকসাম সদর থানায় সপর্দ করেন। পরবর্তীতে কর্মকর্তাদের পাওয়া গেলেও আজ ১১ বছরেও খবর মিলেনি সেই হিরু-হুমায়ুনের। এখনো তাদের পথ চেয়ে বসে আছে তাদের সেই পরিবার গুলো, এখন প্রশ্ন হলো আসলেই কি তারা ফিরে আসবেন সেই পরিবারে কাছে, উত্তর অজানাই রয়ে গেলো।