মোহাম্মদ আনসার শাহ: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চলতি বছরের ৫ আগস্ট বিকাল থেকে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২৭ টি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ পন্থি ২৭ জন কাউন্সিলর আত্নগোপনে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এতে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাড়ে ৫ লাখ মানুষ নাগরিক সেবা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিটি কর্পোরেশন এটি। যার ২৭ ওয়ার্ডের মধ্যে ২৫ টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওয়ামীলীগ সমর্থিত। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন কার্যালয় ও বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে নগরবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে তোপের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেয়ার পর থেকে সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৭ জন কাউন্সিলর এবং ৯নং জন সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং এরা বিভিন্ন পদে থাকার কারণে জনরোষের আশঙ্কায় আত্নগোপনে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জরুরি প্রয়োজনে তাদের কার্যালয়ে ও সিটি কর্পোরেশনে গিয়ে ও তাদের দেখা পারছেন না, বলে অভিযোগ উঠেছে। সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে ২৭ টি ওয়ার্ডে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ নাগরিকদের বসবাস। রাজনৈতিক পদ পরিবর্তনের ফলে সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত বিজয়ী হয়ে তারা বর্তমানে আত্মগোপনে পালিয়ে রয়েছেন।যাদেরকে নাগরিকরা বিপদ আপদে এলাকার উন্নয়নে সবসময় পাশে পেয়েছেনl এরা দল সমর্থন ও এলাকার মানুষকে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করিয়ে জেল, ভূমি দখল,দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্নসাদ করেছেন তারাই আজ পালিয়ে রয়েছেন বলে নাগরিকদের অভিযোগl যারা আত্মগোপনে পালিয়ে রয়েছেন তারা হলেন ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী গোলাম কিবরিয়া, ২নং ওয়ার্ডে গাজী গোলাম ছারোয়ার, ৩নং ওয়ার্ডে সরকার মাহমুদ জাভেদ ,৪নং ওয়ার্ডে মো: নাছির উদ্দিন নাজিম, ৫ নং ওয়ার্ডে সৈয়দ রায়হান আহমেদ, ৬ নং ওয়ার্ডে মো:আমিনুল ইকরাম, ৭ নং ওয়ার্ডে আব্দুর রহমান, ৮ নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ একরাম হোসেন, ৯নং ওয়ার্ডে জমির উদ্দিন খান জম্পি, ১০নং ওয়ার্ডে মো: মঞ্জুর কাদের মনি, ১১নং ওয়ার্ডে হাবিবুর আল আমিন সাদি, ১২নং ওয়ার্ডে কাজী জিয়াউল হক, ১৩ নং ওয়ার্ডে মো: রাজিউর রহমান, ১৪ নং ওয়ার্ডে আব্দুল কালাম আজাদ, ১৫ নং ওয়ার্ডে সাইফুল বিন জলিল, ১৬ নং ওয়ার্ডে মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুল, ১৭ নং ওয়ার্ডে হানিফ মাহামুদ,১৮ নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ শওকত আকবর, ১৯ নং ওয়ার্ডে মো: রেজাউল করিম, ২০ নং ওয়ার্ডে মো: আনোয়ার হোসেন, ২১ নং ওয়ার্ডে কাজী মাহবুবুর রহমান, ২২ নং ওয়ার্ডে মো: আজাদ হোসেন, আজাদ হোসেন জানান আমার ওয়ার্ডের নাগরিকদের সেবা মূলক কাজগুলো অব্যাহত রয়েছে ।পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড কাউন্সিলরের কার্যালয়টি সবসময় খোলা রয়েছে।
২৩ নং ওয়ার্ডের: আনিসুজ্জামান, ২৪ নং ওয়ার্ডে মো: মহিবুর রহমান, ২৫ নং ওয়ার্ডে মো: এমদাদুউল্লাহ, ২৬ নং ওয়ার্ডে মো: আব্দুস ছাত্তার, ২৭ নং ওয়ার্ডে মো: আবুল হাসান। ৯ জন মহিলা কাউন্সিলর এরা হলেন কাউছারা বেগম, নাদিয়া নাসরিন, উম্মে কুলসুম, রুমা আক্তার, নূর জাহান বেগম পুতুল, নেহার বেগম,তাহমিনা আক্তার, ফারহানা পারভীন,শাহীন আক্তার এ ব্যাপারে ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা কাজী মাহাবুবুর রহমান বলেন আওয়ামীলীগের নেতা ও সমর্থক কাউন্সিলররা অফিসে ও আসেন না। তারা ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর থেকে আত্নগোপনে চলে গেছেন, অনেকে পালিয়ে রয়েছেন, যেহেতু তাদের মেয়র ডা: তা তাহসিন বাহার সূচনা ও রয়েছে আত্নগোপনে, কবে আসবেন জানি না। তবে পরিস্থিতি সাভাবিক হয়ে যাবে আশা করেছেন তিনি। নাম প্রকাশ করা না শর্তে আওয়ামী লীগ পন্থী একজন কাউন্সিলর জানান ,আওয়ামী লীগ সমর্থিত বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে ঘরের আসবাব পত্র লুট করে নিয়ে যায় গত ৫ ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নাম ধারি লুটপাট কারি একটি দল ।এসব জন প্রতিনিধির পরিবারের সদস্যরা গোপনে পালিয়ে আত্নীয় স্বজনদের বাড়িতে রয়েছেন। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের আওয়ামী পন্থী নির্বাচিত মেয়র ডা: তাহসিন বাহার সূচনা আত্নগোপনে থাকাতে গতকাল ১৯ শে আগস্ট রবিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন কুমিল্লা পল্লীউন্নয়ন একাডেমী (বার্ড)এর মহা পরিচালক মো: সাইফুদ্দিন আহমেদ। তবে মেয়র না থাকায় সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন মূলক কাজে স্হবিরতা নেমে এসেছে।