কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দিনে দিনে কমতে শুরু করেছে তাল গাছের সংখ্যা। এতে একদিকে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং স্বাভাবিক ভারসাম্য। অন্যদিকে বাড়ছে বজ্রপাতসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ- দুর্ঘটনার ঝুঁকি। প্রতিবছরই বাড়ছে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা
তবে চলতি বছরে প্রাকৃতিক সুন্দর্য বৃদ্ধি ও বজ্রপাতের ঝুঁকি কমাতে তাল গাছের বীজ রোপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।
তারই অংশ হিসেবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দুই হাজার তাল গাছের বীজ বপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিকেলে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের খোরিলার বিল এলকায় তাল গাছের বীজ বপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মান্নান খান।
ইউএনও বিতান কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে এসময় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, একটা সময় গ্রাম- বাংলার বসতভিটা, প্রবেশপথ, পুকুরপাড়, অলিগলি, মেঠোপথসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা যেত সারিসারি তালগাছ। তাতে ঝুলে থাকত বাবুই পাখির বাসা। খালে-বিলে দেখা যেত তাল গাছের তৈরি ডেঙ্গি নৌকা। শহরতলীতেও দেখা মিলত তালগাছের।
তবে এদৃশ্য এখন শুধুই অতীত। এছাড়াও গরমকালে এখনও তাল পাতার তৈরি পাখা ও তাল শাঁসেরর বেশ কদর রয়েছে। পাকা তাল দিয়ে তৈরি গ্রামীন পিঠাপুলিও পছন্দের তালিকায় রয়েছে নানাবয়সি মানুষের কাছে। অন্যান্য গাছের তুলনায় উচু হওয়ায় বজ্রপাতের প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছে এই তালগাছ।
নাগরিক কমিটির সভাপতি মো. আকরাম হোসেন বলেন, তালগাছ ও বাবুই পাখির বাসা এখন শুধুই অতীত।
সেজন্য প্রতিবছরই বজ্রপাতের প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। তিনি সরকারের তালগাছের বীজ রোপন কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
ইউএনও বিতান কুমার মন্ডল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও বজ্রপাতজনিত দুর্ঘটনা হ্রাস করতে উপজেলায় দুই হাজার পিস তালের বীজ বপন করা করা হয়েছে।