কুষ্টিয়ায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে (১৭) শ্লীলতাহানির অভিযোগে মো. রাকিবুল (২৩) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শনিবার (২৬ আগস্ট) রাতে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রাধাগ্রাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাকিবুল ওই এলাকায় মিন্টু শেখের ছেলে।
রোববার (২৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনার মূলহোতা মো. শাহিন শেখ (৩০) এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা গেছে, বখাটে শাহিন দীর্ঘদিন ধরে ওই কলেজছাত্রীকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ছাত্রী তার বান্ধবীর সঙ্গে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাদের পথ আটকায় শাহিন ও রাকিবুল। এরপর শাহিন তার মুখের স্কার্ফ খুলে মারতে মারতে টেনে হিঁচড়ে মাঠের ভেতরে নিয়ে যান এবং প্রায় ২০ মিনিট ধরে ধস্তাধস্তি ও শ্লীলতাহানি করে। পরে স্থানীয়রা দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেন।
আরও জানা গেছে, এঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে শনিবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। উক্ত মামলার প্রধান আসামি শাহিন পলাতক থাকলেও সহযোগী রাকিবুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বখাটে শাহিন আমাকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে চড়-থাপ্পড় ও শ্লীলতাহানি করেছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
প্রত্যক্ষদর্শী ভ্যানচালক ইসলাম বলেন, প্রায় ২০ মিনিট ধরে দুই ছেলে ওই মেয়েকে মারধর করেছে, ধস্তাধস্তি করেছে। পরে আমি মেয়েদের উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেই।
ছাত্রীর বাবা বলেন, থানায় মামলা করেছি। আর কোনো মেয়ে যেন এমন ঘটনার শিকার না হয় সেজন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানির মামলায় একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।