পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন কুয়েত যাচ্ছেন। তিনি সেখানে দেশটির আমির শেখ নাওয়াফ আল–আহমদ আল–জাবের আল–সাবাহ’র জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করবেন।
সোমবার বেলা ১১টার ফ্লাইটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুয়েতের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে ১৮ ডিসেম্বর দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
পাশাপাশি কুয়েতের আমিরের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ওইদিন দেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুয়েতের একটি হাসপাতালে মারা যান শেখ নাওয়াফ আল–আহমদ আল–জাবের আল–সাবাহ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬।
শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ’র মৃত্যুর পর শেখ নওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কুয়েতের আমির নিযুক্ত হন।
দেশটির আমিরি দিওয়ানবিষয়ক মন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুবারক আল সাবাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ২৯ নভেম্বর কুয়েতের আমিরকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। জরুরি স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
কুয়েতের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহ’র মৃত্যুতে আমরা শোক প্রকাশ করছি।
আমির হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে কয়েক দশক ধরে কুয়েতের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন শেখ নওয়াফ।
এর মধ্যে ১৯৯০ সালে তৎকালীন ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন কুয়েতে হামলা চালানোর সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন শেখ নওয়াফ। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন।