রাশিয়াকে না জানিয়ে কৃষ্ণসাগরে জাহাজ ঢুকলেই সেই যানে হামলার ইঙ্গিত দিয়েছে মস্কো। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার সম্মতি ছাড়া ইউক্রেন থেকে শস্য নিতে কৃষ্ণসাগরের দক্ষিণপূর্ব ও উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে যদি কোনো জাহাজ ঢুকে পড়ে তবে সেটির ওপর হামলা চালানো হবে। কারণ এসব জাহাজকে অস্ত্রবাহী হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ইউক্রেন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি থেকে সরে এসেছে রাশিয়া। এক বছর আগে ২০২২ সালের জুলাইয়ে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে এ চুক্তিটি হয়। চুক্তির মাধ্যমে কৃষ্ণসাগর দিয়ে নির্বিঘ্নে আন্তর্জাতিক বাজারে যেতে পারত ইউক্রেনের খাদ্যশস্য। তবে গত ১৭ জুলাই চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর রাশিয়া জানায় তারা আর এরসঙ্গে নেই। খবর আল জাজিরা।
চুক্তিটি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর বুধবার (১৯ জুলাই) একটি বিবৃতি দিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা ইঙ্গিত দিয়েছে, রাশিয়ার সম্মতি ছাড়া ইউক্রেনের শস্য নিতে, কৃষ্ণসাগরে যদি কোনো জাহাজ প্রবেশ করে সেটির ওপর হামলা চালানো হবে। কারণ এসব জাহাজকে অস্ত্রবাহী হিসেবে ধরা হবে। এ ব্যাপারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘কৃষ্ণসাগর চুক্তি ছিন্ন এবং সামুদ্রিক মানবিক করিডোর বন্ধ হওয়ায়— ২০ জুলাই ২০২৩ রাত ১২টা থেকে, কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের বন্দরের দিকে যাওয়া সব জাহাজকে অস্ত্রভর্তি কার্গোবাহী হিসেবে ধরা হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘জাহাজে যেসব দেশের পতাকা পাওয়া যাবে; সেসব দেশকে ইউক্রেনের পক্ষে ও যুদ্ধে জড়িত হিসেবে ধরা হবে।’ এতে আরও বলা হয়েছে, ‘কৃষ্ণসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমার উত্তরপূর্ব এবং দক্ষিণপূর্বের কয়েকটি এলাকাকে জাহাজ চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।’
এদিকে শস্যচুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর থেকেই ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে হামলা শুরু করে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার টানা তৃতীয় দিনের মতো সেখানে আকাশ শক্তি ব্যবহার করে হামলা করেছে রুশ বাহিনী। তাদের হামলায় গতকালই ওডেসার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শস্য স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।