তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরে যেভাবে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল, সেই ধারাবাহিকতায় আজকের বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতাকেই হত্যা করার অপচেষ্টা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার যাদুকরী নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। কেউ আর বাসি ভাত খায় না।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষকে যেভাবে উদ্দীপ্ত করেছেন, তা শুধু দেশে নয় বিশ্বের কোথাও এমন নেতা পাওয়া যাবে না। তিনি বিশ্বে এক অনন্য নেতা, এজন্যই তাকে বঙ্গবন্ধু বলা হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, ২০২১ সাল ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে, যা ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা ছিল। যদিও এর বীজ তৈরি করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মোস্তফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নেই কাজ করে যাচ্ছে তার সুযোগ্য কন্যা। তার সাহসী পদক্ষেপের কারণেই বাংলাদেশ স্যাটেলাইটের মালিক হয়েছে। তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে প্রবেশ করার চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি। ২০২৩-২৪ সাল নাগাদ প্রবেশ করব। এছাড়া চলতি বছরে ফাইভ জি চালু হবে।
সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসার জীবন কর্ম ও অবদানের বিভিন্ন দিক কবিতার ভাষায় তুলে ধরেন বিটিসিএল চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার।
কোম্পানি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীতে আর কোনো ইতিহাস নেই যে, একটি মাসেই এতোটা শোকের ছায়া। এই ভয়াল আগস্ট এমনি এক মাস যা বিশ্বের কোনো শোকাহত ঘটনার সাথে মেলে না। বিশ্বে রাজনৈতিক হত্যার ক্ষেত্রে মূল ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এক নারকীয় ঘটনা ঘটেছে আগস্ট মাসে। তাই আন্তর্জাতিকভাবে এই পৈশাচিক ঘটনা বিশ্ব দরবারে বিশদভাবে প্রচার করতে হবে।
এসময় বঙ্গবন্ধুর অবদানের পাশাপাশি তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতার অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ধৈর্য্যের সাথে কষ্ট হলেও যে কোনো কাজে সাহস যুগিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক ও সাবেক সচিব উজ্জল বিকাশ দত্তসহ বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।