আওয়ামী লীগ পালিয়েছে, না ভয় পেয়েছে। পালালে এক ধরনের চিন্তা। আর ভয় পেলে আরেক চিন্তা। ভয় এবং পালানো কোনটাই রাজনীতিবিদদের জন্য সুখকর বার্তা বহন করেনা। কিন্তু কেন আওয়ামী লীগের এত ভয় এবং ভয়ে পালানো? তাদেরকে তো প্রতিপক্ষরা দৌড়ানি দেয়নি। কেউ সামনে এসে দাড়ালে হয় প্রতিহত করা ,না সংঘাতে জড়ানো, আর শক্তিতে বলিয়ান না হলে, দৌড়ে পালানো, কিংবা দু-চারটা খেয়ে লুটায় পালানো। কিন্তু আওয়ামী লীগকে তো তাদের প্রতিপক্ষরা দৌড়ানি। দাওয়া করেনি। তারপরও কেন তাঁরা পালালো। ৫ আগস্ট ২০২৪ কিংবা জুলাই ২৪ কোটা আন্দোলনে সরকার পতনের কোন আভাস ছিলনা। কোটা আন্দোলনকে সরকার ও আওয়ামীলীগ আমলে নেয়নি। তবে গোয়েন্দা রির্পোট ছিল। জাতীয় আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা রির্পোট সরকার পতনের স্পষ্ট বর্ণনা ছিল। যেটা আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেনি। তবে আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা কাজ কর্ম নিয়ে জানার চেষ্টা করেছেন তারা কিন্তু কোটা আন্দোলনের মধ্যেই দেশ কেড়েছেন। আর যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভরসায় ছিলেন, তাঁরা আর বিদেশে যেতে পারেনি। ফলে সরকার পতনে আওয়ামী লীগ পরিবার দিকবিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়ে। আর সরকার প্রধান গোয়েন্দা রির্পোটকে পাত্তাই দেননি। দলের সাধারন সম্পাদক কোনরূপ হোম ওয়ার্ক না করে ছাত্রলীগকে আন্দোলন মোকাবেলায় কথা বলে ছেড়ে দেন। যে ছাত্রলীগের ওপর ভরসা করে ওবায়দুল কাদের দ্বায়িত্ব দিয়ে দিলেন। সেই ছাত্রলীগ তো আর ছাত্রলীগ ছিলনা। ছাত্রলীগ কেবল লোগোটা ছিল। সেই লোগোকে সামনে রেখে ছাত্রদল ,ছাত্রশিবির, হিজবুত তাহেরী বেষ্টিত হয়ে পড়ে। আর তারাই মূলত কোটার নামে সরকার পতনের মাষ্টার মাইন্ড । যারপর পলায়ন। এই পরিস্থিতি এখনো দলীয় লোকেরা অনুভাব করতে পারেনি । সবাই তো অবৈধ কমাই করে রাজার হালে ছিলেন। আর আন্দোলনের পর ভেড়ার পালের মতো রাজ্য ছেড়ে রাজারা পালালেন। চুরি করা সম্পদের আদরে সব পালিয়েছে।