নিজস্ব প্রতিবেদক নোয়াখালী: ‘আমাদের আত্মীয়তার পরিচয় দিয়ে কেউ কেউ টেন্ডার-বাণিজ্য করছে। এটা চলতে দেওয়া যায় না। আমি আজকে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সড়কসচিব নজরুল ইসলাম সাহেবকে কয়েকজনের নাম বলেছি। কোনো অবস্থাতেই যেন তাঁদের স্থান দেওয়া না হয়।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা রোববার সন্ধ্যা সাতটায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বসে নিজের ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা বলেন, ‘টেন্ডার-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে আমাদের ভাগনে পরিচয়দানকারী ইস্কান্দার মির্জা শামীম, কোম্পানীগঞ্জের মিজানুর রহমান বাদল, চট্টগ্রামের আনাছ, বাবু, আজাদ।’ কাদের মির্জা বলেন, ইস্কান্দার মির্জা শামীম লক্ষ্মীপুর এমডি কাউছার হামিদ মজুমদারকে কাজ পাইয়ে দেবে বলে দুই কোটি টাকার চেক নিয়েছেন। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে এক কোটি টাকা তুলে ফেলেছেন। কিন্তু তিনি (এমডি কাউছার হামিদ মজুমদার) এখনো কাজ পাননি। তিনি (ইস্কান্দার মির্জা) অন্য লাইসেন্স দিয়ে কাজটি ভাগিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু এই লোক থেকে টাকা নিয়েও তিনি (ইস্কান্দার মির্জা) কাজটি তাঁকে (কাউছার হামিদ মজুমদার) দিচ্ছেন না।
এই মির্জা শামীম এক সময়ে খাবার জুটতো না, এখন গাড়ি , বাড়ি, প্লট, ফ্লাট কোটি কোটি টাকার মালিক ।
সেতুমন্ত্রীর ভাই ফেসবুক লাইভে আরও বলেন, ‘আগামী এক মাসের মধ্যে (একত্রিশ দিনও হতে পারবে না) যদি নোয়াখালীর অপরাজনীতির সমস্যার সমাধান না হয় অথবা অপরাজনীতির বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে আমরা ঢাকাতে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করব।’ কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দায়িত্বে কখনো যাব না। আমার এমপি হওয়ারও কোনো আকাক্সক্ষা নেই। আমি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কোনো দায়িত্ব নেব না। আমি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন সদস্য হিসেবে কাজ করে যেতে চাই। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, যিনি কাজ করেন, তিনিই নেতা। দায়িত্বে না থেকেও কাজ করা যায়, সে প্রমাণ আমি করতে চাই।’ ফেসবুক লাইভের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী প্রমুখ।