1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন

কোথায় কী গাছ লাগাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন—ফুটপাত, লেকপাড় ও সড়ক বিভাজক

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের তাপমাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। এ অবস্থায় রাজধানীতে শীতল জায়গা বাড়াতে দুই লাখ গাছ লাগানোর ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। গত ৩ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন।

সেই ঘোষণার এক মাস পর গতকাল মঙ্গলবার দুই লাখ গাছ লাগানো কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এদিন রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মেয়র আনিসুল হক সড়কের দুই পাশের ফুটপাতে শতাধিক গাছ লাগানো হয়। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ফুটপাত ছাড়াও সড়ক বিভাজকের মাঝে ও খালের পাড়ে লাগানো হবে এসব গাছ।

এই কর্মসূচির আওতায় কী ধরনের গাছ লাগানো হবে, সে বিষয়ে একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে উত্তর সিটি করপোরেশন। ওই নির্দেশিকায় লাগানো গাছের পরিচর্যার বিষয়টিও উল্লেখ করা আছে।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, সড়কের পাশের ফুটপাতে লাগানো হবে ছাতিম, বকুল ও কাঠবাদামগাছ। ফুটপাতের যে অংশে জায়গা কিছুটা বড় থাকবে সেখানে কৃষ্ণচূড়া ও সোনালুগাছও লাগানো হবে।

অন্যদিকে সড়ক বিভাজকে কাঁটা মেহেদী, রঙ্গন, করবী, বাগানবিলাস ও বামন জারুল লাগানো হচ্ছে। পাশাপাশি পাখিদের আকৃষ্ট করতে রসকোগাছের চারাও রোপণ করা হবে। এ ছাড়া খালের পাড়ে বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন আম, জাম, কাঁঠাল ও ঔষধি গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, এসব গাছ পরিচর্যার জন্য উত্তর সিটিতে ১০০ জন মালি নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রতি কিলোমিটার এলাকার দায়িত্বে থাকবেন একজন মালি। এর ভেতর যত গাছ থাকবে, তাঁরা এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করে প্রতিবেদন দেবেন।

গাছ লাগানোর বিষয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইচ্ছেমতো কোনো গাছ লাগানো হচ্ছে না। প্রতিটি গাছ বন বিভাগ, পরিবেশবাদী ও নগর–পরিকল্পনাবিদের পরামর্শ নিয়ে নির্বাচন করা হয়েছে। যে গাছগুলো লাগানো হচ্ছে, তাতে বায়ুদূষণ কমে যাবে, তীব্র তাপপ্রবাহ কমবে, জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও ভূমির ক্ষয়রোধ হবে, ছায়া দেবে, সর্বোপরি অর্থনৈতিকভাবে সুফল আনবে।’

সড়ক বিভাজক, ফুটপাত ও খালপাড়ে দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক রাখহরি সরকার। তিনি  বলেন, ডিএনসিসি জায়গাভেদে যে গাছগুলো লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা ভালো। তবে এলাকা (ঢাকা উত্তর সিটি) এবং গাছের সংখ্যা (দুই লাখ গাছ) যেহেতু বেশি, তাই গাছের প্রজাতি সীমাবদ্ধ না করাই ভালো। দেশীয় আরও অনেক প্রজাতির গাছ আছে, সেগুলো লাগানো যেতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনার বাইরেও কাঞ্চন, টগর, গন্ধরাজ ও নাগেশ্বরগাছ লাগানো যেতে পারে। তবে কৃষ্ণচূড়া ভঙ্গুর গাছ। একটা সময় পর্যন্ত ভালো থাকে, পরে ঝড়–বৃষ্টিতে ভেঙে যায়। এ বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

ফুটপাতে গাছ লাগানোর বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক রাখহরি সরকার। তিনি বলেন, ফুটপাতে অনেক সময় অল্প মাটিতে কোনোরকমে গাছ লাগানো হয়। অনেক সময় নিচে কংক্রিট থাকে। এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। গাছ যদি মাটির সঙ্গে যুক্ত হতে না পারে, তাহলে বড় হবে না।

আরও পড়ুন

নগরের উন্নয়নের জন্য গাছ কাটা যাবে না: মেয়র আতিক

খালের পাড়ে লাগানো গাছের বিষয়ে উদ্ভিদবিদ্যার এই অধ্যাপক বলেন, ফলদ ও ঔষধি গাছের পাশাপাশি খালের পাড়ে বৃক্ষজাতীয় গাছ লাগানো যেতে পারে। কারণ, গাছগুলো দীর্ঘমেয়াদি এবং পাড়ের মাটি ধরে রাখতে পারবে। এ জন্য খালের পাড়ে শিলকড়ইয়ের পাশাপাশি বকুলগাছ লাগানোর মত দেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি