1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন

‘কোনও অজুহাত নয়,কল ড্রপ বন্ধ করতেই হবে !’

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২১

দেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র নির্ধারিত সীমা ১০০টি কলের মধ্যে ২টির বেশি কল ড্রপ (কথা বলতে বলতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া, কথা না শোনা ইত্যাদি) হওয়া যাবে না। অপরদিকে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) নির্ধারিত সীমা ৩ শতাংশের নিচে কল ড্রপ থাকতে হবে। কিন্তু সরকার আর এসব নিয়ম অনুসরণ করবে না। সেবার মান বাড়িয়ে মোবাইল অপারেটরগুলোকে কল ড্রপ বন্ধ করতেই হবে। তারপরও যদি কোনও কল ড্রপ হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহককে টাকা ফেরত দিতে হবে। এমন নিয়ম করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য কোনও শতাংশের হিসাব দেখা হবে না।
মোবাইল অপারেটরগুলোর কলড্রপ ধরতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ নতুন প্রযুক্তির সন্ধান শুরু করেছে। যে প্রযুক্তিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ অপারেটরগুলোর কল ড্রপ নিজেরাই ধরতে পারবে। অপারেটরগুলোর দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করতে হবে না বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মন্ত্রী বলেন, ‘কল ড্রপ নিয়ে মোবাইল অপারেটরগুলো আমাদের মাসে মাসে রিপোর্ট দিতো, আর আমরা খুশি হয়ে বসে থাকতাম। ওইদিন শেষ হতে চলেছে। আমরা নতুন প্রযুক্তি খুঁজে বের করছি। যা দিয়ে আমরা নিজেরাই কল ড্রপ ধরবো।’ তিনি বলেন, ‘মোবাইল অপারেটরগুলোর কোনও কল ড্রপ হতে পারবে না। কল ড্রপ পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। যদি কখনও কল ড্রপ হয়, তাহলে গ্রাহককে টাকা ফেরত দিতে হবে। কোনও শতাংশের অজুহাত চলবে না।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘অপারেটরগুলো কাউকে কোনও টাকা ফেরত দেয় না। ২০২১ সালের মধ্যেই এই প্রযুক্তি চালু করা হবে।’
তিনি জানান, এই প্রযুক্তি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে, প্রাইমারি নোটিসও দেওয়া হয়েছে।মন্ত্রী জানান, দেশের ৪৭২টি উপজেলায় মোবাইল সেবার মান (কোয়ালিটি অব সার্ভিস) পরীক্ষার করা হবে। যেসব জায়গায় মোবাইল সেবার মান ‘টেস্টে’ খারাপ পাওয়া যাবে, সেসব অপারেটরকে জরিমানা করা হবে। তিনি বলেন, ‘গ্রামীণফোন ও রবি আমাকে জানিয়েছে, আগামী ২৬ মার্চের আগে সারা দেশে ফোর-জি কাভারেজের আওতায় নিয়ে আসবে। ফোর-জি কাভারেজ সম্পন্ন হলে তাদের সেবার মান আগের চেয়ে ভালো হবে, বলে তারা মনে করে।’
জানা যায়, ২০১৬ সালের ৩০ জুন বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরগুলোকে কল ড্রপের বিষয়ে একটি নির্দেশনা দেয়। নির্দেশনায় বলা হয়, ‘একের অধিক কল ড্রপ হলে প্রতিবারের জন্য এক মিনিট করে গ্রাহককে ফেরত দিতে হবে এবং তা মেসেজের (এসএমএস) মাধ্যমে গ্রাহককে জানাতে হবে।’
যদিও সে সময় অপারেটরগুলো জানায়, তাদের নেটওয়ার্কে কল ড্রপের পরিমাণ ১ শতাংশেরও কম। এই হার বিটিআরসি ও আইটিইউ-এর নির্ধারিত সীমার মধ্যে। পরবর্তী সময়ে কল ড্রপ বেড়ে গেলে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরগুলোর কাছে ব্যাখ্যা চায়। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ব্যাখ্যা চেয়ে মোবাইল অপারেটরগুলোর কাছে চিঠি পাঠায় বিটিআরসি। কল ড্রপ নিয়ে সে সময় জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়।এর পরে মোবাইল অপারেটরগুলো বিটিআরসির কাছে কল ড্রপের পরিসংখ্যান তুলে ধরে এবং কী পরিমাণ ‘কল মিনিট’ গ্রাহককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাও উল্লেখ করে।
যদিও ওইসব পরিসংখ্যান নিয়ে মন্ত্রীর অভিযোগ, কল ড্রপ নিয়ে মোবাইল অপারেটররা টাকা তো ফেরত দেয়ই না, প্রতিবেদনে কল ড্রপ নিয়ে যা দেখায় (কল ড্রপের পরিমাণ) প্রকৃত চিত্র— তার চেয়ে অনেক বেশি কল ড্রপ হয়। যদিও অপারেটররা বলে থাকে, কল ড্রপ ২ শতাংশের নিচে আছে, আইটিইউ’র মান অনুযায়ী ঠিক আছে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে মোবাইলে কল ড্রপ ২০ শতাংশ না ৫০ শতাংশ হয়, তা জানি না। সেটা জানার ব্যবস্থা করছি।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি