বিশেষ রিপোর্ট : কোভিড-১৯ ভয়াবহ মহামারীতে মস্তবড় পুজিঁ করে মেডিনোভা ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার ভুয়া ও জালিয়াতি রিপোর্ট দিয়ে কোটি কোটি টাকা বানিজ্য করছে। করোনার পজেটিভ নেগেটিভ রিপোর্ট যা ইচ্ছামতো ভাবে প্রদান করে টাকা নিয়েছে আতংঙ্কগ্রস্থ রোগীদের কাছ থেকে। কোভিড-১৯ ভাইরাসটি বাংলাদেশে গত বছর মার্চ থেকে ছড়িয়ে পড়ে তখন থেকে শুরু করে ২০২১ এর জানুয়ারি পর্যন্ত মেডিনোভা করোনা আতঙ্কগ্রস্থ রোগীদের সাথে এই জালিয়াতি করে আসছে। সম্প্রতি একাত্তর টিভি’র অনুসন্ধানে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আয়ের এই চিত্র ধরা পড়ে।
২০২১ এর ১১ ফেব্রয়ারি তারিখে সেটি ধরা পড়ে। মেডিনোভা প্রধান ল্যাব কর্মকর্তা সাকির উদ্দিন বলেন, শুরুতেই কিছু রিপোর্ট যখন গরমিল দেখা দেয় তখন ল্যাব মেশিনেই কার্যকর না। মেশিন সরবরাহকারী কোম্পানিকে অবহিত করা হয়। তারাও এর সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। তারপর মেডিনোভা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাফ জানান, তাদের মেশিনে যে রিপোর্ট আসে সেটাই নিতে হবে। তাদের বানানো রিপোর্ট’টি সঠিক কিনা সেটা তাদের কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়। সাকিলের ভাষ্য মতে ভুল রিপোর্ট না দিতে চাইলে মালিক কর্তৃপক্ষ ধমক দিয়ে ভুল রিপোর্ট চালিয়ে যেতে আদেশ করে। তার পরে প্রতিবাদ করা হলে, মেডিনোভা কর্তৃপক্ষ ল্যাবের তিন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেন। এরই মধ্যে ৪/৫ হাজার মানুষের রিপোর্ট দেওয়া হয়ে গেছে। সোহেল নামে এক রোগী অভিযোগের মাধ্যমে ধরা পড়ে আসল চিত্র।
স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে যখন মেডিনোভাকে অনুমতি দেওয়া হয় সে সময় তাদের ১২ জনের বিশেষজ্ঞ দল ছিল। দলের এমন একজনের নাম বলা হয়েছে যিনি মেডিনোভার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এখানে ও জালিয়াতি করা হয়েছে। করোনা রোগ নির্ণয়ের যে মেশিনে সেটিও সঠিক না কিন্তু তাদের বাণিজ্য করে যেতেই হবে। সংসদ সদস্য আব্দুল আজিজ মেডিনোভার বিরুদ্ধে বিচার দাবী করেন। মেডিনোভা বলেছে তাদের কোন রিপোর্ট ভিন্ন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অথচ যিনি রিপোর্ট করেছেন, তিন বলছেন ভুয়া রিপোর্ট। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেডিনোভার বিরুদ্ধে সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগ কোন পদক্ষেপ নেয়ার খবর মিলেনি।