1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
চাকা ঘোরাতে ঘোরাতে কোটিপতি: সিডিএর গাড়ি চালক মহিউদ্দিনের অবৈধ সাম্রাজ্য! কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি শুরু ঘুষ গ্রহণের মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান-বাবরসহ আটজন শেখ হাসিনা পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ ট্রাম্পের নির্দেশে ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ কর্মীকে পাঠানো হলো ছুটিতে   আবরার হত্যা : ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘ মহাসচিব ইউএন হাউজ উদ্বোধন করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা পাবেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

কোম্পানিগঞ্জের সংঘাত ও একটি টেন্ডার অত:পর আহত-নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১

পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধীন পানি উন্নয়ন বোর্ড। নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মোটা অংকের কাজ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ বলে কথা। পানিতেই যায়। তাই লাভ তো থাকেই। কাজের টেন্ডার হলো। টেন্ডার অংশ গ্রহন করতে চেয়েছেন, বসুুর হাট পৌরসভার মেয়র মির্জা কাদের সমর্থকরা। আবার কাজটি হাতিয়ে নিতে ঢাকডোল পিটিয়ে হুঙ্কার ছাড়েন নোয়াখালী সদরের সংসদ সদস্য একরামুল করিম। অপর দিকে একই টেন্ডারের কাজ চান কোম্পানিগঞ্জ’র উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বাদল। তিন জনই আওয়ামীলীগের নৌকার টিকেট নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পড়ছেন বেকাদায়। পদক্ষেপ চাইলেন পানি সম্পদ মনন্ত্রনালয়ের উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীমের। উপ-মন্ত্রী তিন প্রর্থীদের নিয়ে কথা বলে ছিলেন। কিন্তু কে শুনে কার কথা। তারপর মির্জা কাদের পুন:টেন্ডার দাবী করলেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী তাতে সায় দেননি। মূলত সংঘাতের সূত্রপাত এখান থেকে। বাদল ও একরামুল করিম যৌথভাবে মুছ করে। মির্জা-কাদের একা হয়ে পড়ে। প্রথমে উপজেলার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন সহ উপজেলা আওয়ামীলী মির্জা কাদেরের সঙ্গী হন। কিন্তু মির্জার অতি কথন, নানা বিষয়ে কথা বলে মিডিয়াতে ভাইরাল হন।

অপরদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী কাজ পেতে একট্রা। তারপর সংঘাতের শুরু হয়। হরতাল অবরোধ, সংঘর্ষ। আহত-নিহত, হামলা-পাল্টা হামলা। মামলা গ্রেফতার, জামিন আবার সংঘাত এ পর্যন্ত একজন সাংবাদিক সহ তিনজন নিহত হন। আহত হন শতাধিক। মামলার আসামী বাদ দিলে কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামীলীগ পাওয়া যাবেনা। বিষয়টি নিয়ে বিব্রত দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোম্পানিগঞ্জের বিষয়ে কথা বলেছেন, নির্দেশনা দিয়ে দিলেন। তারপরও মির্জাকে দল থেকে জেলা আওয়ামীলীগ বহিষ্কার করে। আবার সেটি প্রত্যাহার করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য কিছুদিন আগে মির্জা কাদের তার বড় ভাই কোম্পনিগঞ্জের সংসদ দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রীর বাসায় আলোচনায় মিলিত হন। সেতু মন্ত্রী উভয়কে দলের শৃঙ্খলা মেনে যার যার অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেন। এরই মধ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগ কাদের মির্জার সংঘ ত্যাগ। দলীয় অফিস ভাংচুর করা হয়। অপর দিকে উপজেলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদ বাদল কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেন। এছাড়া কোম্পনীগঞ্জের সংঘাতের পেছনে কাদেরর পরিবারের সদস্যদের ইন্ধনের অভিযোগ উঠে।

ওবায়দুল কাদেরের ভাগিনাগং ও অন্যান্য পারিবারিক সসদ্যগন দু-ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। সব মিলিয়ে কোম্পানিগঞ্জ এখন সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের মধ্যে পড়ে। কোম্পানীগঞ্জের সাধারণ মানুষ কি অন্যায় করেছে। তাঁরা এখন স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেনা এ দায় কার। কোম্পানীগঞ্জের সাধারণ মানুষের আকুতি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি