রুনা আমির, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ আর কিছুদিন পর আসছে কোরবানি অথাৎ পবিত্র ঈদুল আযহা। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় তার নামে পশু জবেহ করাকে কোরবানি বলে। ঈদুল আযহা উপলক্ষে আল্লাহর নামে নির্দিষ্ট কিছু হালাল পশু জবাই বা কোরবানি করা হয়। আর এই ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পীরা। টুংটাং শব্দই বলছে ঈদ লেগেছে কামারের দোকানে। দিন রাত চলছে চাপাতি, দা, বটি, ছুরি তৈরি ও শানের কাজ। নাওয়া খাওয়া ভুলে নির্ঘুম রাত কাটছে তাদের।
দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা।
আর মাত্র কদিন পরেই কুরবানির ঈদ। এই ঈদের অন্যতম কাজ হচ্ছে পশু কুরবানি করা। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার কামার শিল্পের কারিগররা।
কয়লার দগদগে আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন সব ধারালো সামগ্রী। তবে এসব তৈরিতে এখনো তেমন আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি।
পুরানো সেকালের নিয়মেই চলছে আগুনে পুড়ে লোহা হতে ধারালো সামগ্রী তৈরির কাজ। নলছিটি কলবাড়ি সড়কের কামাড় পট্রির নিহাল কর্মকারের ছেলে সমকর্মকার, তপন কর্মকার, মদন কর্মকারসহ বেশ কয়েকজন কামার জানান, আমরা অনেক বছর যাবৎ এ পেশায় জড়িত। কুরবানির ঈদ আসলেই আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়, আমরাও এসময়ের অপেক্ষায় থাকি। সারাবছর বেচাকেনা কিছুটা কম থাকে। কোনোরকম দিন যায়। এই সময়ের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকি। কুরবানির ঈদের আগে এক সপ্তাহ বেশ ভালো বেচাকেনা হয়।এই সময় দামও খুব ভালো পাওয়া যায়।
সড়েজমিনে দেখা গেছে লোহার তৈরি ছোট ছুরি ১০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জবাই ছুরি মিলছে ৫০০- ৬০০ টাকায়। বিভিন্ন সাইজের চাপাতি ৬০০-৮০০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। দা-বঁটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০০ টাকায়।
ফারজানা আক্তার নামে এক ক্রেতা জানান, কুরবানির ঈদের আর কদিন বাকি তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে ফেলছি। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, কাটারির দাম একটু বেশি বলে জানান তারা। তবে দু’একটি দোকানে লোহার পাশাপাশি স্টিলের ছুরি চাকুও বিক্রি হচছে।