গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বাধিক ৯২টি আসনে জয়ী হয় ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৯ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪টি আসন পেয়েছে।
আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে দলীয় ‘ব্যাট’ প্রতীকে নির্বাচন করতে পারেনি পিটিআই। ফলে দলটির প্রার্থীরা বিভিন্ন প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। জয়ও এসেছে সর্বাধিক আসনে। কিন্তু দলীয় প্রতীক না থাকায় জটিলতা দেখা দেয় সংরক্ষিত ৭০টি আসন নিয়ে।
অবশেষে সংরক্ষিত আসনের অংশ পেতে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল (এসআইসি) নামের একটি দলকে সমর্থন করে পিটিআই- এর বিজয়ী প্রার্থীরা। কিন্তু তারপরও সংরক্ষিত আসন পাচ্ছে না দলটি।
সোমবার দেশটির নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
কমিশনের এই সিদ্ধান্ত ইমরান খানের দল পিটিআই-এর জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা।
সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের চারজন এসআইসিকে সংরক্ষিত আসন না দেওয়ার পক্ষে মত দেন। অন্যজন এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে মত দিয়েছেন।
ইসিপি জানিয়েছে, ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে আগেই সংরক্ষিত আসনের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিক নামের তালিকা কমিশনে জমা দেওয়ার কথা। ওই সময় সংরক্ষিত আসনের জন্য এই তালিকা জমা দেওয়ার সময়ও বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু এসআইসি কোনও তালিকা জমা দেয়নি। নির্বাচনের আগেই ওই তালিকা জমা দেওয়া ‘বাধ্যতামূলক’ বলে উল্লেখ করেছে কমিশন।
জাতীয় পরিষদে সংরক্ষিত নারী আসন রয়েছে ৬০টি। সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত আসন রয়েছে ১০টি। এসব আসন নির্বাচনে জয়ী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংখ্যানুপাতিক হারে ভাগ করে দেওয়া হয়। পিটিআই সমর্থিত এসআইসি ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইতিমধ্যে আসন ভাগ করে দিয়েছে ইসিপি।
সূত্র: ডন নিউজ, পাকিস্তান টুডে, পাকিস্তান অবজারর্ভার, জিও নিউজ