মোঃ ওসমান গনি ইলি কক্সবাজারঃ কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নস্হ ৪নং ওয়ার্ডের মধ্যম গর্জনতলী অবৈধভাবে বনভূমির পাহাড় কেটে স্হাপনা করে বসবাস করা রোহিঙ্গা নুর নাহার পরিবারকে উচ্ছেদ করে ক্যাম্পে ফেরত পাঠাল উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ।
ক্যাম্প থেকে ফের এসে ফুলছড়ি রেঞ্জকর্মকর্তার গোপন সহযোগিতায় জব্দকৃত বাড়ীতে ঢুকে ফের স্হানীয় নির্যাতিত নুর জাহান পরিবার উপর হামলা করেন রোহিঙ্গা সিন্ডিকেট।
এবিষয়ে অভিযোগকারী -খুটাখালীর ৪নং ওয়ার্ডের মধ্যম গর্জনতলীর মৃত ছৈয়দ আলমের মেয়ে রমিদা আকতার জানান,আমার গ্রামে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা আব্দুল খালেক(৪৫), জাফর আলম(৪৪) সাকিবুল হাসান শোয়াইব (২১),শারমিন (জুল বাহার) নাম অজানা আরো ১০/১২ জন।তারা টেকনাফের ২৬নং মৌচনী ক্যাম্পের,ডি ব্লকের,৮নং শেডের ইউএনএইচসিআর-এর নিবন্ধিত এমআরসি ২৫৫২৫ অন্তর্ভুক্ত ভাতাভোগী রোহিঙ্গা নুর নাহার পরিবারের সিন্ডিকেটের লোক হয়।গত ২২ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে ছৈযদার বাড়ীর সামনে আমার ছোট বোন তামান্না জান্নাতকে একা পেয়ে আব্দুল খালেক ও রোহিঙ্গা নুর নাহারের ইন্ধনে বাকী অভিযুক্ত ব্যক্তিরা মেরে ফেলার জন্য ধাওয়া করে।এসময় আমার বোনের চিৎকারে সামনে পড়া লোকের জন্য প্রাণে বেঁচে যায়।এর পূর্বেও গত ২৪ মার্চ ও ২৬ মার্চ রোহিঙ্গা পরিবার সহ অভিযুক্তরা মিলে অশ্রাব্য গালিগালাজ করেছিল।তারই ধারাবাহিকতায় ২২ এপ্রিল মারতে না পেরে গালিগালাজ সহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন।রোহিঙ্গা সিন্ডিকেটের লোকের কালো টাকার ভারে যেকোন সময়, যেকোন মূহুর্তে আমার পরিবার যে কাউকে মেরে তারা যে বীর তা এলাকাবাসীকে প্রমাণ দেখাবে,অথবা ইয়াবা,অবৈধ অস্ত্র দিয়ে কন্ট্রাকে আমাদেরকে প্রশাসনের হাতে তুলি দিবে।এভাবে আমাদের পরিবারকে এলাকা ছাড়া করবে বলে হুমকিতে উল্লেখ করেছেন।উল্লেখ্য যে,অভিযুক্ত রোহিঙ্গা পরিবার মধ্যম গর্জনতলীতে এসে আশ্রয়দাতার হাত ধরে জবরদখল কর্তৃ সংরক্ষিত বনভূমির পাহাড় কেটে মাটির দেওয়াল ও টিনের ছাইনী দিয়ে ঘর নির্মাণ করে।এসময় সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।এসময় তাদের উপর হামলা চালালে, এক বন কর্তকর্মা রক্ত হয়ে দৌঁড়ে আমাদের বাড়ীতে এসে পানি চাইলে,আমরা তাকে পানি দিয়ে সহযোগিতা করেছিলাম।এর জের ধরে রোহিঙ্গা নুর নাহার আমাদের উপর অসংখ্যবার হামলা ও মিথ্যা কয়েকটি মামলা বা অভিযোগ করে হয়রানি করেছে।ফলে বিভিন্ন সংবাদকর্মীদের উপরও হামলা করতে চাওয়ায় তারা রোহিঙ্গাদের ডকুমেন্টস সংগ্রহ পূর্বক পত্রিকা ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করেন।সংবাদের জের ধরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সংসদের সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের কাছে উচ্ছেদের আবেদন করেন।আবেদন যাচাই-বাছাই করে গত ২৩সালের ৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান,সংশ্লিষ্ট বনবিভাগের এসিএফ শীতল পাল,রেঞ্জকর্মকর্তা হুমায়ুন আহমেদ,বিটকর্মকর্তা মোস্তাফিজ সহ অসংখ্য স্টাপ,থানা পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা এসে রোহিঙ্গা নুর নাহার পরিবারকে উচ্ছেদ পূর্বক স্ব-ক্যাম্পে ফেরত পাঠান।এসময় রোহিঙ্গার ঘরটি জব্দ ও তাদের করা এনআইডি,জন্মনিবন্ধন কার্ড জ্বদ করে নিয়ে যান।চলিত বছরের ফ্রেরুয়ারী রোহিঙ্গা নুর নাহার পরিবার ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসে খুটাখালীতে বাসা নিয়ে থাকেন।পরে অভিযুক্ত সিন্ডিকেটের ইশারায় ও রেঞ্জকর্মকর্তার গোপন সহযোগিতায় গত ১৬ এপ্রিল রাত ৭টার দিকে জব্দকৃত বাড়ীতে তালা খুলে প্রবেশ করেন।বর্তমানে জব্দকৃত বাড়ীতে রোহিঙ্গা পরিবার সহ অভিযুক্তরা মিলে অচেনা আরো কয়েকজন লোক বসবাস করছেন।বিধায় অভিযুক্তদের হামলা,হুমকিতে তটস্থ আমার পরিবার।জীবনঝুকিঁতে দিনাতিপাত করছি।আমারদের পরিবারের নিরাপত্তার জন্য উপজেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বনবিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করলাম।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল ইসলাম বলেন,জব্দকৃত রোহিঙ্গা বাড়ী কিছুতেই রোহিঙ্গাদের দিতে পারে না।এবিষয়ে আমি বনবিভাগের কর্মকর্তাদের কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব বলে জানান।